পাপ্পু যাদব। —ফাইল চিত্র।
রাবণদহন উপলক্ষে সঙ্গীসাথী, নেতা-পুলিশদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনিও অগ্নিবাণ ছুড়েছিলেন ৫৫ ফুটের মূর্তিটির দিকে। কিন্তু কে জানত, সেই মূর্তির পেটের মধ্যে ভরা অজস্র বাজি-রকেটের একটি উল্টে ধেয়ে আসবে খোদ সাংসদের দিকেই! বাজির আগুনে চোখে আঘাত নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ছাড়েন পূর্ণিয়ার বাহুবলী সাংসদ পাপ্পু যাদব। পরে সমাজমাধ্যমে এক বার্তায় পাপ্পু জানিয়েছেন, চিকিৎসার পরে আপাতত ভাল আছেন তিনি।
শনিবার পূর্ণিয়ার মেলার মাঠে দশেরা উপলক্ষে হাজির হন বহু মানুষ। সেখানেই ৫৫ ফুটের রাবণ মূর্তিতে আগুন দেওয়ার জন্য পুলিশ ও সঙ্গীসাথীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটি লাঠির মাথায় রংমশালের সাহায্যে আগুন লাগিয়ে তা রাবণ মূর্তির দিকে ছোড়েন সাংসদ পাপ্পু। ঘটনার যে ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রাবণ মূর্তির মধ্যে থেকে একটি জ্বলন্ত রকেট উল্টে ধেয়ে এসে সোজা আঘাত করে পাপ্পুর চোখে। আহত অবস্থাতেও রংমশালটি ছাড়েননি তিনি। তবে তাঁর সঙ্গীরা দ্রুত তাঁকে নিয়ে ঘটনাস্থল ছাড়েন। চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে পাপ্পু সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘আমি ভাল আছি, সবই ঈশ্বরের আশীর্বাদ। এই ধরনের ঘটনার বিষয়ে আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে’’
বিহারের এই নেতা তথা সাংসদের বিরুদ্ধে পূর্ণিয়ার জনপ্রিয় সিপিএম নেতা অজিত সরকারকে খুন-সহ অসংখ্য অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে। এক সময় লালু প্রসাদের ঘনিষ্ঠ হলেও মতবিরোধের জেরে নিজের দল করেন। সেই দলকে পরে কংগ্রেসের সঙ্গে মিলিয়ে দেন। কয়েক মাস আগে লোকসভা ভোটের সময় তিনি কংগ্রেসের কাছে পূর্ণিয়া আসন নিয়ে দরবার করেন। তিনি সেটি জোট শরিক আরজেডি-র ভাগে যাওয়ায় কংগ্রেস পাপ্পুকে টিকিট দেয়নি। শেষে নির্দল হয়ে ওই আসনে দাঁড়য়ে জেতেন পাপ্পু।
দুর্ঘটনার খবরে অনেকেই দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। তবে নেটিজ়েনদের একাংশ বলছেন, খুন, তোলাবাজির মতো অপরাধে অভিযুক্ত পাপ্পু। রকেট ঠিক ‘রাবণ’কেই বেছে নিয়েছিল পূর্ণিয়ার মাঠে!