মণ্ডপ তৈরির ৫ লক্ষ টাকা অ্যাডভান্স নিয়ে, কাজ অসমাপ্ত রেখে চম্পট দিল আগরতলার এক ডেকরেটর। সপ্তমী পুজো আরম্ভ হওয়ার আগেও সম্পূর্ণ হল না মণ্ডপ। মাথায় হাত আয়োজকদের।
করিমগঞ্জ শহরের তিনটি পুজো কমিটিকে এ ভাবেই পথে বসিয়ে দিয়ে সরে পড়েছেন মণ্ডপ-শিল্পী। পুজো মণ্ডপে আলো, ঢাকের বাজনা নিয়ে দস্তুর মতো প্রতিযোগিতা হয় ক্লাবগুলির মধ্যে। সব জোগাড়যন্তর করেও অসমাপ্ত মণ্ডপ সব আনন্দই তাদের ম্লান করে দিয়েছে। ব্রাইট স্টার ক্লাবের সদস্য সঞ্জীব দাস বলেন, এ বার পুজো ২৪ বছরে পা দিল। রজতজয়ন্তী বর্ষের প্রাক্-প্রস্তুতি হিসেবেই এ বার প্রায় ৮ লক্ষ টাকা বাজেট ধরে পুজো করতে নেমেছিলেন তাঁরা। স্থানীয় শিল্পী নয়, আগরতলার বিখ্যাত মণ্ডপ-শিল্পী সুনীল কর্মকারকে ৩ লক্ষ টাকা অগ্রিমও দেওয়া হয়। শুধু ব্রাইট স্টারই নয়, সুভাষ মিলনী ও ক্লাব হিন্দুস্থানের আয়োজকরাও লক্ষাধিক টাকা দিয়ে বায়না করেন সুনীলবাবুকে। মণ্ডপ নির্মাণের কাজ শুরুও করেন শিল্পী। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সব ক’টি মণ্ডপ অর্ধ সম্পূর্ণ রেখে পালিয়ে যান সুনীলবাবু। আয়োজকরা স্থানীয় শিল্পীদের দিয়ে অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করাচ্ছেন বটে কিন্তু মন ভরছে না। বিষয়টি নিয়ে পুলিশে এখনও অভিযোগ দায়ের করেননি তাঁরা। তবে পুজো মিটলে তেমন কিছু করার কথা উদ্যোক্তাদের মাথায় আছে।