দোকান থেকে টাকা চুরির অভিযোগ নাবালক সন্তানের বিরুদ্ধে। এই অপরাধে সালিশি সভা বসিয়ে তার মাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ উঠল ত্রিপুরায়। আর এই ঘটনায় মুখ্য অভিযুক্ত হিসাবে নাম জড়িয়েছে আগরতলার অনতিদূরে শানমুড়া গ্রামের এক নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যের। পুলিশ এখনও একজন অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালক সন্তান একটি দোকান থেকে টাকা চুরি করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। তা জানতে পেরে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শুকলাল দাস সালিশি সভা ডাকেন। সভায় নাবালকের মাকে ডেকে পাঠানো হয়। হাজির ছিলেন অভিযোগকারী দোকানের মালিক। এ ছাড়াও গ্রামের মোড়লস্থানীয়রা হাজির হয়েছিলেন। সভায় নাবালক এবং তার মাকে বিবস্ত্র করে শুকলালের নেতৃত্বে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয় সমাজমাধ্যমে।
পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানেই দু’জনের চিকিৎসা চলছে। সেখানে পুলিশ নিগৃহীতার সঙ্গে কথা বলে। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা বলেছেন, ‘‘আমি টাকা ফিরিয়ে দেব কথা দিয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, সকলেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন, তাঁরা প্রথমে আমার ছেলেকে ধরে তার মাথা কামিয়ে মারধর করতে শুরু করেন। আমি ছেলেকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তখন ছেলেকে ছেড়ে ওঁরা আমাকে বিবস্ত্র করে মারতে থাকেন। পুলিশ এসে উদ্ধার না করলে মরেই যেতাম।’’ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
খুব সম্প্রতি, হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে দুই স্থানীয় মহিলাকে বিবস্ত্র করে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় দেশ জুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। মণিপুরের অবস্থা নিয়ে মুখ খুলতে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। উল্লেখ্য, প্রায় একই সময় বাংলার মালদহে একটি হাটের মধ্যে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে গণপিটুনির অভিযোগ ওঠে। তা নিয়েও তোলপাড় পড়ে যায়। এ বার সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা। এ বার ঘটনাস্থল ত্রিপুরা।