পলামুতে লাইনচ্যুত ট্রেন, সন্দেহের আঙুল মাওবাদীদের দিকে

মাওবাদীদের ডাকা বন্‌ধ চলছিল বেশ কয়েক দিন ধরে। তার মধ্যেই ঝাড়খণ্ডের পলামুতে মঙ্গলবার রাতে লাইনচ্যুত হল লাতেহার এক্সপ্রেস। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রেনটি বরকাকানা থেকে ডালটনগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ওই দিন রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কুচিলা স্টেশনের একটু আগে আচমকাই ট্রেনটির ইঞ্জিনের পরের তিনটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। তবে, এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাঁচি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৫ ১১:২৪
Share:

মাওবাদীদের ডাকা বন্‌ধ চলছিল বেশ কয়েক দিন ধরে। তার মধ্যেই ঝাড়খণ্ডের পলামুতে মঙ্গলবার রাতে লাইনচ্যুত হল লাতেহার এক্সপ্রেস।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রেনটি বরকাকানা থেকে ডালটনগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ওই দিন রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কুচিলা স্টেশনের একটু আগে আচমকাই ট্রেনটির ইঞ্জিনের পরের তিনটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। তবে, এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেনটি খুব আস্তে যাচ্ছিল বলেই বড় রকমের দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে। লাইনচ্যুত হওয়ার সময় ট্রেনটি থেকে লাফ দিয়ে কামরা থেকে নামেন যাত্রীরা। নেমে দেখেন, সামনের দিকে রেল লাইন উপড়ানো অবস্থায় রয়েছে। ঠিক কী কারণে এবং কী ভাবে রেল লাইন উপড়ানো হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিস্ফোরণের ফলে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে কি না, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে রেলকর্তাদের মধ্যে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে জানিয়েছেন যে, ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার আগে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তাঁরা। যাত্রীদের অন্য একটা অংশ অবশ্য সে রকম কোনও শব্দ শুনতে পাননি বলে জানিয়েছেন। মাওবাদী বন্‌ধের মধ্যে এ রকম দুর্ঘটনায় পুলিশের সন্দেহের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে মাওবাদীরাই। কিছু দিন আগের মাওবাদীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযানের বদলা নিতে এমনটা তারা করে থাকতে পারে অনুমান পুলিশের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement