সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে বিয়ে করতে এলেন তরুণী।
এই বীর-জারার গল্পটা একটু অন্য রকম। পাত্র-পাত্রীর পরিবারই ঠিক করেছিল বিয়ে। প্রথমে বাদ সেধেছিল কোভিড। তার পর ভিসার দীর্ঘ জটিল প্রক্রিয়া। অবশেষে সব বাধা পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে এলেন সুমাইলা। জালন্ধরের কামাল কল্যাণের সঙ্গে বিয়ে হবে তাঁর।
বুধবার আট্টারি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকলেন সুমাইলা। তাঁকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছিলেন হবু স্বামী কামাল আর তাঁর পরিবারের লোকজন। সুমাইলা বললেন, ‘‘আমায় পুত্রবধূ হিসাবে নয়, বরং মেয়ে হিসাবেই সবাই অভ্যর্থনা জানালেন। দারুণ লাগছে। মনে হচ্ছে, আমি আমার নিজের পরিবারের সঙ্গেই রয়েছি। কেউ অচেনা নন। সকলেই আমার কাছের জন।’’
সুমাইলা আর কামাল তুতো ভাইবোন। সুমাইলা লাহৌরের বাসিন্দা। আর কামাল পঞ্জাবের জালন্ধরের। সেখানে তাঁদের গাড়ি বিক্রির দোকান রয়েছে। সুমাইলা জানালেন, ‘‘বিয়েটা ঠিক করেছে পরিবারের লোকজন। কামাল আমার তুতো ভাই। তাই মাঝেমধ্যেই কথা হত দু’জনের। ভিডিয়ো চ্যাট হত।’’ কামালের কথায়, ‘‘বাবা যা বলেছিলেন, তা-ই করেছি।’’
২০১৮ সালে ভিডিয়ো কলেই সুমাইলা আর কামালের বাগদান হয়। কথা ছিল, ২০২০ সালে বিয়ে হবে। কোভিডের কারণে তা হয়নি। অবশেষে ২০২২ সালে হতে চলেছে বিয়ে। দীর্ঘ টানাপড়েনের পর। সুমাইলা জানালেন, বার বার ভারতে ভিসার আবেদন করেও পাননি। পরিবারের অনেকেই বিয়েতে যোগ দিতে জালন্ধরে আসতে চেয়েছিলেন। পারেননি। বন্ধু, পরিবারের বাকি সদস্যরা আট্টারি এসে সুমাইলাকে বিদায় জানিয়ে গিয়েছেন।
সুমাইলার এ দেশে আসার প্রক্রিয়ায় সাহায্য করেছেন পঞ্জাবের কাদিয়ানের বাসিন্দা চৌধরি মকবুল আহমেদ। তাঁর নিজেরও বিয়ে হয়েছিল পাকিস্তানে। সুমাইলার মতোই ভারত সরকারের কাছে মকবুলের আবেদন, ভিসার প্রক্রিয়া একটু সহজ করা হোক। দু’জন মানুষের মিলনের ক্ষেত্রে কাঁটাতার যেন কোনও মতেই বাধা না হয়।