হাতেনাতে ধৃত লস্কর জঙ্গি। টুইটার থেকে নেওয়া।
রাতের অন্ধকারে রুদ্ধশ্বাস অভিযান। অনুপ্রবেশের ছক বানচাল ভারতীয় সেনার। মৃত্যু এক অনুপ্রবেশকারীর, হাতেনাতে গ্রেফতার এক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি। টাকার লোভেই জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছিল, ধরা প়ড়ে স্বীকারোক্তি ১৯ বছরের পাক জঙ্গির। ভারতে বড়সড় জঙ্গি হানার ছক কষেছিল ওই অনুপ্রবেশকারীরা,দাবি সেনা সূত্রে।
যে পথ দিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে উরি-কাণ্ড ঘটায়, এ বারও সেই একই পথ ব্যবহার করে ভারতে ঢুকতে চেয়েছিল অন্তত ছয় পাক জঙ্গি। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর নজর এড়াতে পারেনি। সীমান্ত টপকাতে উদ্যত এক জঙ্গিকে গুলি করেন ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। সেই দৃশ্য দেখে নিজের স্নায়ুর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি অপর জঙ্গি, ১৯ বছরের আলি বাবর পাত্র। ভারতীয় সেনার কাছে আত্মসমর্পণ করে সে।
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ১৯ বছরের আলি মায়ের চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা পেয়েছিল বলে জানিয়েছে। কথা ছিল পরিকল্পনা সফল হলে মিলবে আরও ৩০ হাজার টাকা। জেরার মুখে আলি জানিয়েছে, অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার জন্য ওই টাকায় খুব সুবিধা হয়েছে। এর পরই জঙ্গি দল লস্করে নাম লেখায় সে।
ধরা পড়ার পর ভারতীয় সেনাকে সে জানিয়েছে, ‘ইসলাম বিপন্ন’ এই কথা বলে তাদের উদ্ধুদ্ধ করা হত। সামরিক প্রশিক্ষণের দায়িত্ব ছিল পাক সেনার হাতে। এ ভাবেই কয়েক বছরের মধ্যে সাধারণ নাগরিক থেকে ভয় ধরানো জঙ্গি হয়ে ওঠে আলি।
সেনা সূত্রে খবর, আলিকে অভিযানে পাঠানো হলেও মানসিক ভাবে সে তৈরি ছিল না। আর তাই সঙ্গীকে গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়তে দেখে স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারেনি। আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। মূলত পরিবারের আর্থিক সমস্যা কাটিয়ে দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়েছিল আলিকে। মরণাপন্ন মা’কে অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি সে। তাই জঙ্গি দলে নাম লেখানোর প্রস্তাব ফেরাতে পারেনি। দারিদ্র থেকে উত্তরণের লক্ষ্যেই লস্করে নাম লেখায় সে। কিন্তু মোক্ষম সময় স্নায়ুর চাপে ভুগে আত্মসমর্পণে বাধ্য হল।
সেনা সূত্রে খবর, এ ভাবেই চরম দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে তরুণদের জঙ্গি দলে টেনে আনেন পাকিস্তানের জঙ্গি নেতারা। আর এই কাজে তাঁদের প্রত্যক্ষ ভাবে সহায়তা করে পাক সেনা।