পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীর (এনএসজি) সদস্য হওয়ার লড়াইয়ে এ বার ঝাঁপালো ইসলামাবাদ। কোনও রাখঢাক না করে পাকিস্তানের বক্তব্য, পরমাণু শক্তি ব্যবহারের প্রশ্নে তাদের রেকর্ড ভারতের থেকে অনেক শক্তিশালী। আজ সে দেশের বিদেশনীতি বিষয়ক শীর্ষ পরামর্শদাতা সরতাজ আজিজ এক সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছেন।
এনএসজিতে ভারতের অন্তর্ভুক্তির প্রবল বিরোধিতা করেছে চিন। এমনকী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বেজিং সফরের পরেও সেই অবস্থানের বিশেষ বদল হয়নি। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, চিনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় কথা বলছে ইসলামাবাদ। চিনের থেকে আশার আলো পেয়ে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে পাক প্রশাসন। আজ এক সাক্ষাৎকারে সে দেশের বিদেশনীতি বিষয়ক পরামর্শদাতা সরতাজ আজিজ জানিয়েছেন, ‘‘যদি কোনও গোষ্ঠীতে ঢোকার যোগ্যতার মাপকাঠি বিচার করা হয় তা হলে দেখা যাবে, ভারতের থেকে এনএসজি-র সদস্যপদ পাওয়ার প্রশ্নে পাকিস্তানের রেকর্ড অনেক শক্তিশালী। তিন মাস ধরেই এ ব্যাপারে আমাদের আবেদনপত্র তৈরি করে রেখেছিলাম। আমাদের কৌশল ছিল ভারত আবেদন করার ঠিক পরেই আমরা আবেদন করব।’’
ভারত অবশ্য পাকিস্তানের এই মন্তব্যের পরে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘পরমাণু ক্ষেত্রে ভারতের রেকর্ড আন্তর্জাতিক বিশ্বের সামনে জলের মতো স্বচ্ছ। আর নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিস্থিতি কোন দেশে কী রকম, সেটাও কারও অজানা নয়।’’
ভারতকে টেক্কা
পরমাণু অস্ত্র মজুতের নিরিখে ভারতের থেকে এগিয়ে হয়েছে পাকিস্তান। স্টকহলমের আন্তর্জাতিক শান্তি বিষয়ক গবেষণা সংস্থার রিপোর্ট জানাচ্ছে, পাকিস্তানের হাতে এই মুহূর্তে ১১০-১৩০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। যা ভারতের তুলনায় অনেক বেশি। পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে উত্তর কোরিয়া ও ইজরায়েলকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে পাকিস্তান।