পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। —ফাইল চিত্র।
সার্ক দেশগুলির মন্ত্রিপরিষদের একটি ঘরোয়া ভিডিয়ো বৈঠকে আজ যোগ দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকের সভাপতিত্ব করে নেপাল। পাকিস্তান-সহ সার্কভুক্ত সব দেশের বিদেশমন্ত্রীরাই এতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজের নিজের বক্তব্য পেশ করেন। কাশ্মীর এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারত-পাক তরজার ছাপ পড়েছে সেখানেও।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, অতিমারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা বিশেষ ভাবে প্রশংসিত হয় বৈঠকে। জয়শঙ্কর তাঁর বিবৃতিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং কোভিডের মোকাবিলা করে উন্নয়নের পথে এগোনোর তথা বলেন। সেই সঙ্গে সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করার উপরে জোর দেন। পরে তা টুইটও করেন।
অন্য দিকে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি তাঁর বক্তব্যে বলেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে গিয়ে বিতর্কিত এলাকার স্থিতাবস্থায় পরিবর্তন ঘটানো উচিত নয়। এ কথা বলে পরোক্ষে কাশ্মীর নিয়েই তিনি খোঁচা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। পরে এই বক্তব্য তিনি টুইটও করেন। সেই সঙ্গে তিনি আজকের বৈঠকে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন করার প্রস্তাবও দেন। যদিও বেশির ভাগ দেশই বলে, এটা উপযুক্ত সময় নয়।
পরে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব পাকিস্তানকে জবাব দেন। তিনি বলেন, কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল এবং আছে। ফলে তা নিয়ে অন্য কারও মন্তব্য করার এক্তিয়ার নেই। সার্কের বৈঠকেও পাকিস্তানের তরফে এ প্রসঙ্গ তোলাটা দুর্ভাগ্যজনক। বরং পাকিস্তান যে ভাবে বিতর্কিত এলাকা, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালটিস্তানে স্থিতাবস্থা বদলাতে চাইছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি।