প্রতীকী ছবি।
কাশ্মীর উপত্যকায় অশান্তি ছড়াতে ফের ছক কষছে পাকিস্তান। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সীমান্তপারের সন্ত্রাস বিস্তারে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর বেশ কিছু নতুন মোবাইল টাওয়ার বসাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। জম্মু ও কাশ্মীরে অনুপ্রবেশকারী পাক জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় বাড়াতেই ইসলামাবাদের এই নয়া পরিকল্পনা।
ওই সূত্র জানিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং গিলগিট-বালটিস্তানের নিয়ন্ত্রণরেখায় বর্তমানে মোট ২৮টি মোবাইল টাওয়ার রয়েছে। পাকিস্তানের সরকারি সংস্থা ‘স্পেশাল কমিউনিকেশনস অর্গানাইজেশন’ (এসসিও) সেগুলির মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী জঙ্গি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের ‘বিকল্প’ মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চালায়।
এক গোয়েন্দা কর্তা জানিয়েছেন, এসসিও সম্প্রতি আরও ৩৮টি টাওয়ার বসাতে উদ্যোগী হয়েছে। তার জন্য নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া জায়গাও চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে। বারামুলার বিপরীতে চামে, সেপোরের অদূরে লেপা, মুজফ্ফরাবাদ এবং আপার নীলম উপত্যকার বিভিন্ন এলাকা রয়েছে ওই তালিকায়। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওই টাওয়ারগুলির সিগন্যাল আটকাতে ভারতের তরফে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ১৮টি জিএসএম অ্যান্টেনা বসানো হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লাদাখে শীতের মোকাবিলা করতে আমেরিকার পোশাক ও সরঞ্জাম আনছে ভারত
নরেন্দ্র মোদী সরকার গত বছর অগস্টে ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে। এক পরে উপত্যকা জুড়ে নিরাপত্তা নজরদারি অনেক কড়া হয়েছে। মোবাইল এবং ইন্টারনেট যোগাযোগেও নানা বিধিনিষেধ বলবৎ হয়েছে। ফলে পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি সমস্যায় পড়েছে। বিশেষত, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা এ পারের ‘হ্যান্ডলার’দের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করতে পারছে না।
আরও পড়ুন: শহরের জঙ্গলে ফিরে আসুক দামা আর বসন্ত বউরি পাখিদের ডাক
পাশাপাশি, কাশ্মীরি আমজনতাকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে গুজব ছড়ানো বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রচার চালাতেও সমস্যা হচ্ছে। সেই সমস্যা দূর করতেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মোবাইল টাওয়ার নির্মাণের এই নয়া উদ্যোগ। প্রসঙ্গত, গুজব ও প্ররোচনা ছড়ানো আটকানোর যুক্তিতেই ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবায় বিধিনিষেধ বলবৎ করেছিল কেন্দ্র। সাম্প্রতিক পাক উদ্যোগ সেই যুক্তিকেই কার্যত মান্যতা দিচ্ছে।