কুলভূষণ যাদব
কুলভূষণ যাদবকে নিয়ে বিতর্ককে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছে ইসলামাবাদ। সে দেশের সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত ভারতের এই প্রাক্তন নৌ সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে একটি নতুন নথি (ডশিয়ার) তৈরি করে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে পেশ করার কথা ভাবছে পাকিস্তান। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, এই নতুন ডশিয়ারে থাকবে যাদবের ‘স্বীকারোক্তি’র ভিডিও এবং বিবৃতি। তাঁকে কোর্ট মার্শাল করার সময় পাক আদালতে দাঁড়িয়ে কুলভূষণ যা বলেছিলেন, সেগুলিকেও তুলে ধরা হবে রাষ্ট্রপুঞ্জের সামনে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া মনোভাব নিয়ে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। এই নতুন ডশিয়ার প্রসঙ্গে এখনও মুখ না খুললেও ঘরোয়া ভাবে বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে, পাকিস্তান গোটা বিষয়টি নিয়ে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর নথি সাজিয়েছে। প্রকৃত তথ্য থাকলে তা ভারতের সামনে তুলে ধরা হতো। কুলভূষণকে আইনি সহায়তা দেওয়ার প্রশ্নে নয়াদিল্লিকে আটকানোও হত না। বিদেশ মন্ত্রকের মতে, ইসলামাবাদের আসল উদ্দেশ্য, আন্তর্জাতিক শিবিরে অপপ্রচার চালিয়ে ভারতকে দর কষাকষির টেবিলে বসতে বাধ্য করা। এই ছক বানচাল করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে সাউথ ব্লকে। শুধু কুলভূষণ একা নন, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের কারাগারে চর অভিযোগে আটক রয়েছেন আরও ১৩ জন ভারতীয়। কুলভূষণ কাণ্ডের পরে এ বার তাঁদের প্রসঙ্গও সামনে নিয়ে আসার কথা ভাবা হচ্ছে।
গত কালই ইসলামাবাদ দাবি করেছে তারা ৩ জন ‘র’ এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে। ভারতে বন্দি পাক চরদের মুক্তির জন্য, পাল্টা পাক কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে একে। এ পর্যন্ত কুলভূষণের জন্য ১৪ বার ‘কনস্যুলার অ্যাকসেস’ চেয়েছে ভারত। এখনও তা দেওয়া হয়নি। বলা হচ্ছে, অন্য যে ১৩ জনকে চর অভিযোগে আটক করে রাখা হয়েছে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করার জন্য বারবার আবেদন করেও ফল হয়নি। মোট ২০৮ জন ভারতীয় এই মুহূর্তে পাক কারাগারে বন্দি। তাদের মধ্যে ১৭৪ জন মৎস্যজীবী। যাদের চর সাব্যস্ত করে আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ২৭ বছর বয়সি এক ম্যানেজমেন্ট শিক্ষক হামিদ নিহাল আনসারি। মুম্বই থেকে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন পাকিস্তান, ফেসবুকে ঘনিষ্ঠতা হওয়া প্রেমিকাকে খুঁজতে!