১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি প্লাটুন কম্যান্ডার হিসাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
কিন্তু শিল্পসত্ত্বাকে কখনও ন্যুব্জ হতে দেননি। সত্তরের দশকে বাংলাদেশে যে বিমূর্ত চিত্রকলার যুগের সূচনা হয়েছিল তাঁর স্রোতে গা না ভাসিয়ে নিজস্ব স্বকীয় শৈলীতে ভাস্বর হয়ে উঠেছিলেন শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
১৯৬৮ সালে এসএসসি পাশ করেন ফরিউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন আর্টস-এ বিএফএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পর বৃত্তি নিয়ে চলে যান প্যারিসে। সেখানেই কর্মজীবনের শুরু।
১৯৯২ সালে ‘মাস্টার পেইন্টার্স অব কনটেম্পোরারি’ আর্টস-এর পঞ্চাশ জনের এক জন হিসাবে বার্সেলোনায় ‘অলিম্পিয়াড অব আর্টস’ পদকে ভূষিত হন।
তাঁর শিল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্য গতিময়তা। ছবির মধ্যে ‘মোশন’কে তুলে ধরেন তিনি।
বড় ক্যানভাসের পর্দায় গতিশীল ও পেশীবহুল অতিমানবীয় পুরুষের ছবি আঁকতে ভালবাসেন শাহাবুদ্দিন। তাই তাঁর সমস্ত ক্যানভাস জুড়ে সেই গতিরই বহিঃপ্রকাশ।
শাহাবুদ্দিনের তুলিতে নারী চরিত্রগুলিও অসামান্য। মিহি কাপড়ের আড়ালে নারী শরীরের চিরায়ত কোমলতা, স্নিগ্ধতা ধরা থাকে তাঁর ছবির মধ্যে।
দেশ বিদেশের গ্যালারিতে তাঁর একক ও যৌথ প্রদর্শনী সারা বিশ্বেই বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।