অসমের কাজিরাঙা লাগোয়া কার্বি গ্রাম রংহাং হাতিখুলি। গত ৫ বছর ধরে সেখানকার গ্রামবাসীরা বর্ষায় ধান চাষ করতে পারছেন না হাতিদের অত্যাচারে। ফসল রোয়ার পরেই কাজিরাঙা থেকে কয়েকশো হাতি এসে খেত তছনছ করে দেয়। গত তিন বছরে এই এলাকায় হাতি-মানুষ সংঘাতের জেরে ১৫টি হাতি ও ১৫ জন গ্রামবাসী মারা গিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত হাতি বিশেষজ্ঞ প্রদীপকুমার ভুঁইঞা ও হাতিবন্ধু বিনোদ বরা এক অভিনব পরিকল্পনা হাতে নেন। ঠিক হয়, প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে আগেভাগেই ধান চাষ করা হবে হাতিদের জন্য। তারা ধান খেয়ে ফিরে যাওয়ার পরে একই মরসুমে দ্বিতীয় বার ধান চাষ করবেন গ্রামবাসীরা। ১৫ দফা বৈঠকের পরে রাজি হন গ্রামের মানুষ। এগিয়ে আসেন ডিএফও রাজেন চৌধুরি। তাঁর উদ্যোগে কৃষি দফতর বীজ দেয়। প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে ধানের পাশাপাশি হাতি আসার রাস্তায় ৪০-৪৫ বিঘা জমিতে লাগানো হয়েছে নাপিয়ের গ্রাস বা হাতি ঘাস। হাতি বিশেষজ্ঞ ও সাম্মানিক বনপাল কৌশিক বরুয়ার মতে, হাতি চলাচলের পথে কলাগাছ লাগানোর থেকে এই পরিকল্পনা অনেক বেশি বাস্তবসম্মত।