—ফাইল চিত্র।
এক দিকে একা কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। উল্টো দিকে বিজেপি, শরিক ও সহযোগী দলের সাংসদরা এককাট্টা।
সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিএসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে অধীর চাইছেন, করোনা অতিমারি, লকডাউন ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত ছোট-মাঝারি শিল্প, বেকারত্ব থেকে পিএম-কেয়ার্স তহবিলের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হোক। বিজেপি ও তার শরিক দলের সাংসদদের তাতে প্রবল আপত্তি। লকডাউন ওঠার পরে শুক্রবারই প্রথম সংসদীয় কমিটির বৈঠক বসল। সূত্রের দাবি, প্রথম দিনেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে বাদানুবাদ তুঙ্গে উঠেছে। রাজনৈতিক শিবিরের ব্যাখ্যা, করোনা ও লকডাউন সামলাতে সরকারের কোনও রকম গাফিলতি যাতে প্রকাশ না হয়, সেটাই বিজেপি শিবির নিশ্চিত করল।
শুক্রবার পিএসি-র বৈঠকে আলোচ্যবস্তু ছিল, চলতি অর্থবর্ষে কমিটি কী কী বিষয় খতিয়ে দেখবে। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে বোঝানোর চেষ্টা করেন, সার্বিক করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন থেকে ছোট-মাঝারি শিল্প, বেকারত্বের পরিস্থিতি, পিএম-কেয়ার্স তহবিল নিয়ে আলোচনা হোক। সাধারণ ভাবে পিএসি কোনও বিষয়ে সিএজি-র রিপোর্ট নিয়েই আলোচনা করে। বৈঠকে সিএজি রাজীব মহর্ষি হাজিরও ছিলেন। কিন্তু অধীর যুক্তি দেন, এর বাইরেও কমিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খতিয়ে দেখতে পারে। আগেও এমন হয়েছে। কিন্তু সূত্রের খবর, বিজেপি-র ভূপেন্দ্র যাদব, জগদম্বিকা পাল, জেডি-ইউয়ের রাজীবরঞ্জন লালনরা প্রবল আপত্তি তোলেন। তাঁরা যুক্তি সাজিয়ে তৈরিই ছিলেন। বিজু জনতা দলের ভর্তৃহরি মহতাবও এতে আপত্তি জানান। পিএসি-তে অধীরই একমাত্র কংগ্রেস সদস্য। বিরোধী শিবিরের মধ্যে তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায় বৈঠকে ছিলেন না। ২০ জনের কমিটিতে উপস্থিত ১৭ জনের মধ্যে অধীর কার্যত একা পড়ে যান। তিনি যে সব বিষয়ে ধাপে ধাপে আলোচনা চাইছিলেন, তাতে বিজেপি, এনডিএ-র সাংসদরা সায় দিতে চাননি।
আরও পড়ুন: ‘আই হোপ, বিকাশ পৌঁহুছে না’, বলেছিলেন উজ্জয়িনীর পুলিশ অফিসার, প্রশ্ন এনকাউন্টার নিয়ে
আরও পড়ুন: মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার নিয়ে কংগ্রেসের নিশানায় কেন্দ্র
এই পরিস্থিতিতে দেড় ঘণ্টার বৈঠকে কোনও ফয়সালাই হয়নি। এনডিএ শিবিরের সূত্রের খবর, আলোচনার জন্য যে সব বিষয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে আপত্তি জানিয়ে তাঁরা চেয়ারম্যান অধীরকে চিঠি লিখবেন। তার পরেই ঠিক হবে, পিএসসি-তে কী নিয়ে আলোচনা হবে। তবে পরবর্তী বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।