লোধি রোডে সিবিআইয়ের নতুন কমপ্লেক্স উদ্বোধনের দিন।
মাঝে মাত্র আট বছরের ব্যবধান। আর এই আট বছরেই বদলে গেল সিবিআই সদর দফতরে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর ভূমিকা। আট বছর আগে প্রধান অতিথি হিসাবে সদর দফতরের যে গেস্ট হাউসের উদ্বোধন করেছিলেন, বুধবার রাত থেকে সেই গেস্ট হাউসেই বন্দি তিনি।
বুধবার রাতে নাটকীয় আবহে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে গ্রেফতার করার পর নয়াদিল্লির লোধি রোডে সিবিআই সদর দফতরের গেস্ট হাউসেই এনে রাখা হয়েছে তাঁকে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গেস্ট হাউসের ৩ নম্বর ঘরে তিনি রয়েছেন। আজ থেকে আট বছর আগে ২০১১ সালের ৩০ জুন এই গেস্ট হাউস উদ্বোধনের দিন তিনিই প্রধান অতিথি ছিলেন। সে সময় তিনি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, আর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিংহ। মনমোহন সিংহের সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন চিদম্বরম। উদ্বোধনের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেন্ট্রালি এয়ার কন্ডিশনড বিল্ডিং এবং তার লক আপের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিজে ঘুরে দেখেছিলেন। এই লক আপগুলোই সিবিআই সদর দফতরের গেস্ট হাউস।
সিবিআই সূত্রে খবর, গেস্ট হাউসের ভিজিটর নোট বুকে এখনও তাঁর মেসেজ রয়েছে। সিবিআইয়ের কাজকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন চিদম্বরম। তিনি লিখেছিলেন, ‘১৯৮৫ সাল থেকে সিবিআইয়ের খুব কাছে থেকে কাজ করে চলেছি, এই সংস্থা নতুন ‘বাড়ি’ পেয়েছে দেখে আমি গর্বিত। আশা করছি ভারতের প্রধান তদন্তকারী সংস্থা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং প্রশাসনিক কাঠামোর মজবুত স্তম্ভ হয়ে উঠুক।’
ভিজিটর নোটবুকে চিদম্বরমের লেখা মেসেজ।
চিদম্বরম গ্রেফতার হওয়ার পর সেই উদ্বোধনের ভিডিয়ো নতুন করে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন:
সকাল থেকেই সিবিআইয়ের জেরা, দুপুরে আদালতে তোলা হতে পারে চিদম্বরমকে
অমিত শাহ কি এ বার বদলা নিলেন? প্রশ্ন কংগ্রেসের অন্দরেই
সিবিআই জানিয়েছে, বুধবার রাতে আর জেরা করা হয়নি তাঁকে। তাঁর ঘরের বাইরে দু’জন নিরাপত্তা রক্ষী সারারাত প্রহরায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির খাবার খান চিদম্বরম, তারপর পোশাক বদলে নেন। সকাল ৯টা নাগাদ প্রশ্নের তালিকা বানিয়ে তাঁকে জেরা শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকেরা। দুপুরে তাঁকে আদালতে পেশ করে ১৪ দিন হেফাজতে রাখার আর্জি জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে সিবিআইয়ের।
নয়াদিল্লিতে সিবিআইয়ের সদর দফতর।
ছবি সূত্র: সিবিআই।