পি চিদম্বরম। ফাইল চিত্র।
ইয়েস ব্যাঙ্ক নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, সরকার কী ভাবে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচালনা করছে তা প্রকাশ্যে চলে এল।
শুক্রবার টুইট করে তিনি বলেন, “৬ বছর ধরে বিজেপি ক্ষমতায় আছে। কী ভাবে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচালনা করছে তা দেখাই যাচ্ছে! প্রথমে পিএমসি ব্যাঙ্ক। এ বার ইয়েস ব্যাঙ্ক। সরকার কি এ সব নিয়ে আদৌ ভাবিত নয়?” সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে চিদম্বরম আরও বলেন, “যা হচ্ছে তার দায় কি সরকার অস্বীকার করতে পারবে? পিএমসি ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক হল, এ পর কোন ব্যাঙ্কের পালা?”
ইয়েস ব্যাঙ্ক নিয়ে সরকারকে আক্রমণের পাশাপাশি এই সঙ্কটময় পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায়ও বাতলেছেন চিদম্বরম। তিনি বলেন, “এক টাকায় ইয়েস ব্যাঙ্কের ঋণের বই কিনে নেওয়া উচিত স্টেট ব্যাঙ্কের। পাশাপাশি, ঋণগুলো উদ্ধার করে আমানতকারীদের আশ্বস্ত করা যে তাঁদের টাকা সুরক্ষিত থাকবে। এবং ফেরতও দেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন: ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ারে ধস, টাকা মার যাবে না, আশ্বাস নির্মলার
আরও পড়ুন: জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? করোনায় আক্রান্ত নন তো? কী করে বুঝবেন
বৃহস্পতিবার ইয়েস ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদ ভেঙে দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই সঙ্গে নির্দেশিকা জারি করে গ্রাহকদের টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেয় ৫০ হাজার টাকা। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত নির্দেশ বলবত থাকবে। এই সময়ের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্ক কোনও ঋণও দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আরবিআই।
সূত্রের খবর, কেন্দ্র চাইছে স্টেট ব্যাঙ্ক ও এলআইসি মিলে ইয়েস ব্যাঙ্কের মোট ৪৯% অংশীদারি হাতে নিক। সেই এলআইসি, যাদের কাঁধে এর আগে লোকসানে ডোবা আইডিবিআই ব্যাঙ্ককেও চাপানো হয়। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, সংস্থায় পলিসিহোল্ডারদের টাকার সুরক্ষা নিয়ে। যদিও শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তাঁদের যাবতীয় আমানত সুরক্ষিত থাকবে।’’