মণীশ সিসৌদিয়া ফাইল চিত্র
প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অক্সিজেন চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের গঠন করা অক্সিজেন অডিট কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যা প্রয়োজন তার চেয়ে চারগুণ বেশি অক্সিজেন চেয়েছিল দিল্লি সরকার। যদিও এই রকম কোনও রিপোর্টর অস্তিত্ব নেই বলে দাবি করলেন দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। তাঁর আরও দাবি, বিজেপি-র সদর দফতরে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
দেশে মেডিক্যাল অক্সিজেনের জোগান ও বিতরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ১২ সদস্যের জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে দিল্লিতে দৈনিক প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিল, তবে দিল্লি সরকার চাহিদা বাড়িয়ে ১২০০ মেট্রিক টন করেছিল। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, দিল্লির অতিরিক্ত চাহিদার কারণে অন্য ১২টি রাজ্যে অক্সিজেনের মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। রিপোর্টে এ কথা বলা হলেও সে সময় দিল্লি সরকার অবশ্য বলেছিল, স্বাভাবিক অবস্থায় দিল্লিতে দৈনিক প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। দ্বিতীয় তরঙ্গে তা বাড়তে বাড়তে ৭০০ মেট্রিক টন ছাড়ায়। তারা এ নিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করে। শীর্ষ আদালত ওই পরিমাণ অক্সিজেন দিতে নির্দেশও দেয়। এক সময়ে তারা আরও বেশি, অর্থাৎ দৈনিক প্রায় ১২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন দাবি করে।
অডিট কমিটির রিপোর্টের বিষয়ে ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ রকম কোনও রিপোর্ট নেই। এটির অস্তিত্বও নেই। বিজেপি মিথ্যা বলছে। আমরা অক্সিজেন অডিট কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বলেছেন যে তাঁরা এই রিপোর্টে স্বাক্ষর বা অনুমোদন করেননি।’’ সিসৌদিয়ার প্রশ্ন, ‘‘যখন তাঁরা কোনও রিপোর্টে স্বাক্ষর করেননি, যখন তাঁরা এই রিপোর্ট অনুমোদন করেননি, তখন কোথা থেকে এই রিপোর্ট এল? আর এই রিপোর্টাই বা কোথায়?’’
অক্সিজেন অডিট কমিটি স্বাক্ষরিত রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য বিজেপি-কে চ্যালেঞ্জও জানান সিসৌদিয়া। বলেন, ‘‘বিজেপি তাদের দফতরে তৈরি একটি ভুয়ো রিপোর্ট দেখাচ্ছে। আমি তাদের অক্সিজেন অডিট কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর সম্বলিত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবি জানাচ্ছি। আমরা সকলেই জানি যে সংক্রমণ যখন শিখরে ছিল, তখন দিল্লিতে অক্সিজেনের ঘাটতি ছিল এবং রাজ্য রাজ্যে অক্সিজেনের জোগান নিয়ে সমস্যার জন্য কেন্দ্রই দায়ী ছিল। রোগীর পরিজনরা কি মিথ্যা বলেছিলেন? চিকিত্সকরা কি তখন মিথ্যা বলেছিলেন? যাঁরা আদালতে গিয়েছিলেন তাঁরাও কি সবাই মিথ্যা বলেছিলেন?’’