রায়গড়ে শুক্রবার উদ্ধারের কাজ শুরু। ছবি: পিটিআই।
মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে ভূমিধসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬। এখনও নিখোঁজ শতাধিক গ্রামবাসী। তাঁদের খোঁজে শুক্রবার সকাল থেকে আবার নতুন করে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতর সতর্কবার্তা দিয়েছে, শুক্রবারও ভারী বৃষ্টি হবে এই জেলায়। ফলে উদ্ধারকাজ আবার ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
গত কয়েক দিন ধরেই মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। তার মধ্যে রায়গড়ও রয়েছে। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ জেলার ইরশালওয়াড়ির একটি আদিবাসী গ্রামে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ধস নেমে আসে। এই গ্রামে রয়েছে ৫০টি বাড়ি। প্রশাসন সূত্রে খবর, তার মধ্যে ১৭টি বাড়ি ধসের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে। মোট ২২৮ জন গ্রামবাসীর মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৯৩ জনকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও নিখোঁজ ১১৯ জন গ্রামবাসী।
গ্রামবাসীদের উদ্ধারের কাজ যৌথ ভাবে চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ)। এ ছাড়াও বহু পর্বতারোহী এই উদ্ধারকাজে শামিল হয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের আশঙ্কা, ৫০ থেকে ১০০ জন গ্রামবাসী ধসের নীচে চাপা পড়ে থাকতে পারেন। তবে সঠিক সংখ্যাটি এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে তারা।
বুধবার ঘটনার পর থেকে উদ্ধারকাজ চলছে। কিন্তু ওই জেলায় বৃষ্টি হওয়ায় উদ্ধারকাজ মাঝেমধ্যেই থমকে যাচ্ছে। উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, ভারী বৃষ্টির কারণে আরও ধস নামার আশঙ্কা বাড়ছে। ফলে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে চার শিশু রয়েছে। যাদের বয়স এক থেকে চার বছর। গ্রামে যে হেতু পাকা রাস্তা নেই, তাই ধস সরানোর যন্ত্র ঢোকানো যাচ্ছে না ওই এলাকায়। ফলে হাতে হাতেই উদ্ধারের কাজ চালানো হচ্ছে।