ব্যাঙ্কে নাম ৭০ শতাংশ চা শ্রমিকের

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো রাজ্যব্যাপী জোরদার অভিযান চালিয়েও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাত্র ৭০ শতাংশ চা শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারল ব্যাঙ্কগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৩৫
Share:

স্কুল ফেলে টাকা তোলার লাইনে। সোমবার করিমগঞ্জের একটি ব্যাঙ্কে উত্তম মুহরীর তোলা ছবি।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো রাজ্যব্যাপী জোরদার অভিযান চালিয়েও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাত্র ৭০ শতাংশ চা শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারল ব্যাঙ্কগুলি।

Advertisement

২১ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল চা বাগান মালিক ও ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে বৈঠকে ৫ ডিসেম্বের মধ্যে সব চা শ্রমিকের অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দেন। তিনি জানান, ১৫ ডিসেম্বর থেকে সব চা শ্রমিকের বেতন ব্যাঙ্কে জমা পড়বে। তার পরেই ব্যাঙ্কগুলি সব বাগানে শিবির বসায়।

আজ রাজ্যের শ্রম ও চা জনগোষ্ঠী উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী পল্লবলোচন দাস জানান, অনেক চেষ্টার পরেও ৩০ শতাংশ চা শ্রমিক এখনও ব্যাঙ্কের আওতার বাইরে রয়েছেন। ৭০ শতাংশের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। রাজ্যে ৯০০টি বড় বাগানে ১০ লক্ষ স্থায়ী ও ১০ লক্ষ অস্থায়ী বাগানকর্মী রয়েছেন। পল্লববাবু জানান, ব্যাঙ্কগুলি জানিয়েছে, সব শ্রমিকের অ্যাকাউন্ট ১৩ দিনের মধ্যে খোলা সম্ভব নয়। তাদের আরও সময় লাগবে। এ নিয়ে ব্যাঙ্কগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। মন্ত্রী জানিয়েছেন— দরং, হাইলাকান্দি, মরিগাঁওতে সব শ্রমিকের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। কাজ চলছে ডিব্রুগড়, শোণিতপুর, গোলাঘাট, তিনসুকিয়ায়। চা বাগানগুলিতে ১০ হাজার এটিএম খোলার কাজও চলছে।

Advertisement

এ দিকে, দু’একদিনের মধ্যেই করিমগঞ্জ জেলার বাগান শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে সাপ্তাহিক বেতনের টাকা। করিমগঞ্জের অতিরিক্ত জেলাশাসক ধ্রুবজ্যোতি দেব জানান, অন্য জেলার থেকে করিমগঞ্জে অ্যাকাউন্ট খোলার হার বেশি। তিনি বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক প্রতিনিধিরা জেলার ২২টি বাগানের মধ্যে ১৪টি বাগানের শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছেন। অবশ্য দুল্লভছড়া, পুতনি, হাতিখিরা, বুবরিঘাটের মতো জেলার বড় বাগানগুলিতে ১০০ শতাংশ অ্যাকাউন্ট খোলা এখনো সম্ভব হয়নি।’’ তাঁর হিসেবে, করিমগঞ্জ জেলায় ১৭ হাজার ৭৫৬ জন বাগান চা শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ৭৯২ জনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বাকি ১৫ হাজার ৯৬৪ জনের মধ্যে ১৪ হাজার ২১৯ জনের অ্যাকাউন্ট নতুন করে খোলার কাজ শেষ হয়েছে। বাকিদের অ্যাকাউন্টও দু’দিনের মধ্যেই খোলা হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক জানান, বাগান শ্রমিকদের জনধন যোজনায় অ্যাকাউন্ট থাকলেও পৃথক একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। কারণ জনধন অ্যাকাউন্টে সব টাকা জমা পড়লে তুলতে সমস্যা হতে পারে। জমা পড়া সবগুলো টাকা তুলতে অসুবিধা হতে পারে। জেলাশাসক প্রশান্ত কুমার মহন্ত জেলার বাইরে রয়েছেন। তিনি ফেরার পরেই বাগান শ্রমিকদের টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement