পাকিস্তানিদের ভারত থেকে ফেরতা পাঠানোর কাজ শুরু। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারত থেকে পাকিস্তানিদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বাতিল করা হচ্ছে ভিসাও। সমস্ত রাজ্যকে কেন্দ্রের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তানিদের চিহ্নিত করে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। সেই নির্দেশের পরই রাজ্যগুলি শুরু হয়েছে পাকিস্তানিদের চিহ্নিতকরণের কাজ।
শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই পাঁচ হাজার পাকিস্তানিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তথ্য বলছে, বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে রাজ্যে রয়েছেন এমন পাক নাগরিকদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। তার মধ্যে কারও দীর্ঘমেয়াদি ভিসা রয়েছে, কেউ বছর বছর ভিসার পুনর্নবীকরণ করাচ্ছেন, কেউ আবার নাগরিকত্বের আবেদন করেছেন, যাঁরা ভারতীয় নাগরিককে বিয়ে করেছেন, সেই তালিকায় এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে ২৫০ জন পাক নাগরিককে চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে পাঁচ হাজারের যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১০৭ জনের কোনও হদিস মিলছে না বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। আর এই নিখোঁজ হওয়া পাক নাগরিকেরাই চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছে। তাঁদের খোঁজার কাজও চলছে পাশাপাশি। প্রশাসন সূত্রে খবর, ৩৪ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে যাঁদের কোনও বৈধ নথি নেই।
মহারাষ্ট্র সরকারের তথ্য বলছে, রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহরে পাকিস্তানি নাগরিকদের হদিস মিলেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানির হদিস মিলেছে নাগপুরে। এই শহরে চিহ্নিত করা হয়েছে ২,৪৫৮ জন পাকিস্তানিকে। তার মধ্যে ২৫ জনের কোনও হদিস নেই। তার পরই রয়েছে ঠাণে। এখানে ১,১০৬ জন পাক নাগরিককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে নিখোঁজ ৩৩ জন। বৈধ নথি ছাড়া থাকছিলেন ৮ জন। জলগাঁওয়ে ৩৯৩ জন চিহ্নিত। পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড়ে ২৯০ জন, নবী মুম্বইয়ে ২৩৯ জন, নিখোঁজ ২ জন। পুণেতে ১১৪ জন। নিখোঁজ ৯ জন এবং বৈধ নথি ছাড়া থাকছিলেন ২৪ জন।
এই ছয় শহর ছাড়াও পাক নাগরিকদের হদিস মিলেছে অমরাবতী, আহমেদনগর, সোলাপুর এবং নাসিকেও। এই জেলাগুলি থেকেও যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেখানেও বেশ কয়েক জনের কোনও হদিস মিলছে না বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।