গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এক জঙ্গির বাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
অনন্তনাগ, পুলওয়ামা, কুলগাঁও, কুপওয়ারার পর এ বার বান্দিপোরা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নয় জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল সেনা। শনিবার গভীর রাতে বান্দিপোরা এবং ত্রালে আরও দুই লশকর জঙ্গির বাড়িতে অভিযান চালায় বাহিনী। তার পরই ওই জঙ্গির বাড়ি বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়।
সেনা সূত্রে খবর, বান্দিপোরার লশকর জঙ্গির
নাম জ়ামিল আহমেদ। বছর দুয়েক আগে লশকর জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দেয় সে। বান্দিপোরা-সহ
জম্মু-কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি এলাকায় সক্রিয় ছিল সে। অন্য দিকে, ত্রালে এক জইশ জঙ্গির বাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই জঙ্গির নাম আমির নাজ়ির। সূত্রের খবর, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর স্থানীয় জঙ্গিদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই জঙ্গিদের খুঁজে বার করার কাজও শুরু করে দিয়েছে সেনা। শুধু তা-ই নয়, তালিকায় থাকা ওই জঙ্গিদের বাড়িও গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলছে।
বান্দিপোরায় জঙ্গি জামিলের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সোপিয়ানে আরও দুই লশকর জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় সেনা। তাদের এক জন হল আদনান সফি। ২০২৪ সালে লশকরে যোগ দেয় সে। অন্য জঙ্গি ফারুক আহমেদ। বর্তমানে পাকিস্তান থেকে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনা করছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
শনিবার সকালে কুলগাঁও জেলায় দুই জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় সেনা। গ্রেফতার করা হয় ওই দুই জঙ্গির দুই সহযোগীকে। তার আগে বৃহস্পতিবার পহেলগাঁও হামলার অন্যতম দুই চক্রী আসিফ শেখ এবং আদল ঠোকরের বাড়িও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অন্য দিকে, পুলওয়ামায় আহমসান আল হক শেখ নামে এক জঙ্গির বাড়ি শুক্রবার বুলজোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। সোপিয়ানের চোটিপোরায় শাহিদ আহমেদ কুট্টে এবং কুলগাঁওয়ের জ়াহিদ আহমেদ গনি নামে আরও দুই জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। সূত্রের খবর, যে ১৪ জন স্থানীয় জঙ্গির তালিকা তৈরি করেছে সেনা এবং পুলিশ, সেই তালিকায় এই জঙ্গিরা রয়েছে। তালিকায় থাকা বাকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে তৎপর প্রশাসন এবং সেনা।