Manipur Unrest

অগ্নিগর্ভ মণিপুরে অস্ত্র চুরি, খোয়া যাওয়া ৪,০০০ অস্ত্র জঙ্গিদের হাতে! আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা

অশান্তি চলাকালীন বিভিন্ন বাহিনীর অস্ত্রশালা থেকে দেদার অস্ত্রশস্ত্র লুট হয়েছে। একে সিরিজের অস্ত্র-সহ এমআই ১৬ রাইফেল, সাবমেশিনগান, কার্বাইন এবং অত্যাধুনিক পিস্তল চুরি গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ইম্ফল শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৩ ১৩:৪৪
Share:

অশান্ত মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর চিন্তা বাড়াচ্ছে অস্ত্র চুরি। — ফাইল ছবি।

জাতিগত হিংসার ঘটনায় জ্বলছে মণিপুর। পরিস্থিতি সামলাতে নামাতে হয়েছে সেনা। উত্তর-পূর্বের রাজ্যে উপস্থিত রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু অশান্ত মণিপুরকে শান্ত করা যাচ্ছে না কোনও ভাবেই। এরই মধ্যে আশঙ্কা বৃদ্ধি হল গোয়েন্দাদের একটি সতর্কবাণীতে। অশান্ত মণিপুরে হাজার হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা সেই অস্ত্র সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে যেতে পারে মায়ানমারের জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতে।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ ১৮’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রশাসন মনে করছে রাজ্যে অন্তত ৪ হাজার অস্ত্রের কোনও খোঁজ মিলছে না। কার্তুজের সংখ্যা এখনও গুনে ওঠা যায়নি। কিন্তু কী ভাবে এত পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র লুট হল? প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অশান্তি চলাকালীন রাজ্যের বিভিন্ন গুদাম, বিভিন্ন বাহিনীর অস্ত্রশালা থেকে দেদারে অস্ত্রশস্ত্র লুট হয়েছে। ঠিক কত অস্ত্র এবং কার্তুজ লুট হয়েছে তা জানতে এখনও অপেক্ষা করতে হবে কয়েক সপ্তাহ। কিন্তু অস্ত্র যে চুরি গিয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই কারও।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, একে সিরিজের অস্ত্র-সহ এমআই ১৬ রাইফেল, সাবমেশিনগান, কার্বাইন এবং অত্যাধুনিক পিস্তল চুরি গিয়েছে। ওই প্রতিবেদনেই মণিপুরের এক শীর্ষ আধিকারিককে উদ্ধৃত করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘মায়ানমারের জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে লুট হওয়া অস্ত্র পৌঁছচ্ছে এমন আশঙ্কা রয়েছে। সেটাই সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার। কোনও সম্প্রদায়ের পক্ষেই ৪ হাজার অস্ত্র লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। খবর পাচ্ছি, মায়ানমারের গোষ্ঠী তার মধ্যে কিছু অস্ত্র পেয়েছে। যে অস্ত্রগুলি নিরাপত্তা বাহিনীকে নিশানা করতে এবং আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করতে ব্যবহার করা হবে।’’

Advertisement

অন্য একটি কেন্দ্রীয় এজেন্সির এক আধিকারিকও একই কথা জানিয়েছেন ওই সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিককে। গোয়েন্দারা খবর পেয়েছেন, মণিপুরে অশান্তি পাকানো কয়েকটি গোষ্ঠীর সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে এবং রাজ্যে অশান্তি চলাকালীনই প্রশিক্ষণ নিতে এ পার থেকে মায়ানমারে কয়েক জনকে পাঠানো হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।

জাতিগত হিংসার আগুন কমাতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে প্রশাসন। সরকারি আর্থিক সহায়তার কথাও ঘোষণা করে হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে বিপুল অস্ত্র চুরির ঘটনায় প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ। চুরি যাওয়া অস্ত্র কি মণিপুরের আগুন জ্বালিয়ে রাখতে মণিপুরবাসীর বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হবে? এখন এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে উত্তর-পূর্বের ছোট্ট রাজ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement