বিহারে বাজেয়াপ্ত হওয়া বিষাক্ত মদ। ছবি সংগৃহীত।
২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই ৫ বছরে বিহারে বিষমদ খেয়ে মারা গিয়েছেন প্রায় ২০০-রও বেশি মানুষ। কিন্তু ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর বলছে এই সময়ের মধ্যে বিষাক্ত মদ খেয়ে রাজ্যে মারা গিয়েছেন মাত্র ২৩ জন মানুষ! ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর একটি প্রতিবেদনে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
বিহারের ছপরায় বিষমদকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৭০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে বিহারের রাজ্য রাজনীতিও। রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও একের পর এক বিষমদকাণ্ড নিয়ে মহাগঠবন্ধন সরকারকে তোপ দেগেছে বিজেপি। সরকারের তরফে মুখ খুলে পাল্টা বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিধানসভায় তিনি ঘোষণা করেছেন, কেউ মদ খেয়ে মারা গেলেও সরকারের তরফে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।
বিষমদ নিয়ে এই উত্তপ্ত আবহের মধ্যেই প্রকাশ্যে এল এই তথ্য। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে তৎকালীন বিহার সরকার রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করেছিল। ঘটনাচক্রে সে সময়েও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ। সেই বছরেরই অগস্ট মাসে রাজ্যের খাজুরবানিতে বিষাক্ত মদ খেয়ে ১৯ জন মারা যান। তার পর ২০২১ সাল পর্যন্ত এমন ২০টি বিষমদকাণ্ড দেখেছে বিহার। কিন্তু এর একেবারে উল্টো ছবি সরকারি পরিসংখ্যানে। এনসিআরবি-র তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে ৬ জন, ২০১৯ সালে ৯ জন, ২০২১ সালে বিষমদ খেয়ে ২ জন মারা গিয়েছেন। ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে কেউ নাকি এমন কোনও ঘটনায় মারাই যাননি! ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্তই ১০টি বিষমদকাণ্ড ঘটে গিয়েছে।
দেশের রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এনসিআরবি-র তথ্যভান্ডারে যাবতীয় তথ্যের জোগান দেয়। বাস্তবের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে, বিহার সরকার বিষমদকাণ্ডে অনেক মৃত্যুর কথাই কার্যত চেপে গিয়েছে। এ ব্যাপারে বিহার পুলিশের এডিজি জিতেন্দ্র সিংহ গাঙ্গওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।