ভারত-চিন সীমান্তে আইটিবিপির হাতে বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই সোনা। ছবি: এক্স।
ভারত-চিন সীমান্ত লাদাখ থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার করল আইটিবিপি। দু’দেশের সীমান্ত থেকে গত কয়েক বছরের মধ্যে পাচারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযান ছিল এটি। আর এই বিপুল পরিমাণ সোনা গত কয়েক বছরের মধ্যে বাজেয়াপ্ত হয়নি বলেও দাবি আইটিবিপির।
আইটিবিপি সূত্রে খবর, তেনজিং তার্গে এবং শেরিং চম্বা নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে ১০৮ কেজি সোনা উদ্ধার সোনার বার উদ্ধার হয়েছে। এক একটি বারের ওজন এক কেজি করে। বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই সোনার আনুমানিক বাজারদর ৭০ কোটি টাকারও বেশি। ধৃতদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ছুরি এবং পাচারের জন্য বেশ কিছু সরঞ্জামও উদ্ধার হয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল আইটিবিপির ২১ নম্বর ব্যাটেলিয়ন। সোনা পাচারের খবর পেয়ে পূর্ব লাদাখের চাংথাঙে নজরদারি চালাচ্ছিল তারা। সেই সময় জওয়ানেরা দেখতে পান, শ্রীরাপেলের কাছে দুই ব্যক্তি গাধার পিঠে একটি বোঝা চাপিয়ে হেঁটে আসছেন। সন্দেহ হওয়ায় তাদের দাঁড়াতে বলেন জওয়ানেরা। তাঁদের দেখেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চিনের দিকে পালানোর চেষ্টা করে দুই পাচারকারী। কিন্তু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এক কিলোমিটার আগেই দু’জনকে ধরে ফেলেন আইটিবিপি জওয়ানরা। দু’জনকে ধরে জেরা করতেই, তারা দাবি করে ঔষধি গাছের ব্যবসায়ীর হয়ে কাজ করে। কিন্তু তল্লাশি চালাতেই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়।
আইটিবিপির কমান্ড্যান্ট অজয় নির্মলকর বলেন, “সীমান্তে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই সোনা শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে।” কোথা পাচার করা হচ্ছিল এই সোনা, ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে। শুধু তাই-ই নয়, এই চক্রের জাল কতটা বিস্তৃত, আর কারা জড়িত, তা-ও খোঁজ নিচ্ছে আইটিবিপি।