—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
তৃতীয় মোদী সরকারের প্রথম একশো দিন পূর্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭৪-তম জন্মদিন। এখন জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানা, তার পরে মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন। এই ত্র্যহস্পর্শে খুব শীঘ্রই পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমতে পারে আঁচ করে আজ বিরোধী শিবির আগেভাগেই তেলের দাম কমানোর দাবি তুলল। কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খড়্গে, তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রশ্ন তুলেছেন, কেন অশোধিত তেলের দাম কমলেও মোদী সরকার পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমাচ্ছে না?
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমার ফলে এমনিতেই পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমা নিয়ে চর্চা চলছে। গত মার্চ থেকে অশোধিত তেলের দাম ২০ শতাংশ কমেছে। এখন অশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৭৫ ডলারের নীচেই। শেষবার পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমানো হয়েছিল লোকসভা ভোটের আগে। তখন পেট্রল-ডিজ়েলে লিটারে মাত্র ২ টাকা দাম কমিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। এখন ফের তেলের দাম কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে নানা মন্ত্রকের মধ্যে আলোচনা চলছে।
কংগ্রেস সভাপতি খড়্গে আজ দাবি করেছেন, এখন অশোধিত তেলের দাম যেখানে রয়েছে, তাতে পেট্রলের দাম ৪৮.২৭ টাকা প্রতি লিটার ও ডিজ়েলের দাম ৬৯ টাকা প্রতি লিটার হওয়া উচিত। তা যুক্তি, ২০১৪ সালের মে মাসে অশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০৭ ডলারের বেশি ছিল। পেট্রলের দাম ছিল ৭১ টাকার মতো, ডিজ়েলের দাম ছিল ৫৭ টাকার ঘরে। এখন অশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৭২ ডলার। কিন্তু পেট্রলের দাম দিল্লিতে ৯৪ টাকার বেশি, ডিজ়েলের দাম ৮৭ টাকার ঘরে। অশোধিত তেলের দাম ৩২ শতাংশের বেশি কমলেও বিজেপির লুট চলছে। গত দশ বছর ও তৃতীয় মোদী সরকারের প্রথম ১০০ দিনে মোদী সরকার তেলে কর বসিয়ে ৩৫ লক্ষ কোটি টাকা লুট করেছে।
রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনর প্রশ্ন, কেন তেলের দাম কমানো হচ্ছে না? গত দশ বছরে অশোধিত তেলের দাম ২৪ শতাংশ কমলেও পেট্রলের দাম ৩০ শতাংশ বেড়েছে। তেল সংস্থাগুলি মুনাফা করছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে তার সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে না।