ফাইল চিত্র।
লোকসভায় লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্ন করার কোনও সুযোগই মোদী সরকার দেয়নি। কিন্তু চাপের মুখে তারা রাজ্যসভায় প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হল। বুধবার সরকারের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ রাজ্যসভায় লাদাখের পরিস্থিতির বিশদ ব্যাখ্যা দেবেন। তার পরে বিরোধীরা প্রশ্ন করারও সুযোগ পাবেন। এ জন্য মোট এক ঘণ্টা সময় ধার্য হয়েছে।
মঙ্গলবারই রাজনাথ লোকসভায় লাদাখ নিয়ে বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, চিনের সেনা মে মাসে একাধিক বার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রমের চেষ্টা করেছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে দাবি করেছিলেন, কেউ ভারতের মাটিতে ঢোকেনি। কেউ ভারতের এলাকা দখল করেও বসে নেই। রাজনাথের বিবৃতির পরেই কংগ্রেস নেতারা প্রশ্ন তুলেছিলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী কি প্রধানমন্ত্রীর উল্টো কথা বলছেন? বুধবার আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘‘গত ছ’মাসে ভারত-চিন সীমান্তে কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।’’ ফলে বিতর্ক আরও ঘোরালো হয়েছে।
কংগ্রেস যে সরকারের এক-একবার এক-এক রকম অবস্থান নিয়েই বিঁধতে চায়, তা আজ রাহুল গাঁধী থেকে শুরু করে বেশির ভাগ কংগ্রেস নেতাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কটাক্ষ করে রাহুল টুইট করেন, ‘আপ ক্রোনোলজি সমঝিয়ে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, কেউ সীমান্ত অতিক্রম করেনি। তার পরে চিনের ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নিলেন। তার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী বললেন, চিন আমাদের জমি দখল করেছে। এ বার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলছেন, কোনও অনুপ্রবেশ হয়নি। মোদী সরকার ভারতের সেনার সঙ্গে, না কি চিনের সঙ্গে? মোদীজি, এত ভয় পান কেন?’
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত নিতিন গডকড়ী, টুইট করে জানালেন নিজেই
আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসায় চার্জশিট পুলিশের, ১৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে নেই উমর, শরজিলের নাম
কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেন, ‘‘সরকার নিজেই সংসদে স্বীকার করেছে, মে-জুনে তারা বেজিংয়ের এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে ৯,২০২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।’’ আজ লোকসভায় অধীররঞ্জন চৌধুরী, রাজ্যসভায় কে সি বেণুগোপাল, রাজীব সতাভরা এ দেশে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের উপরে চিনের নজরদারির অভিযোগ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। অধীর বলেন, সীমান্তে আগ্রাসনের পরে এ বার চিনের ডিজিটাল আগ্রাসন দেখা যাচ্ছে।