ফাইল চিত্র
ভোট প্রচারের ঢাকে কাঠি পড়তেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘চোখের জল’, আর ক্রমশ বাড়তে থাকা করোনা-সংক্রমণ, মৃত্যুমিছিল এবং বিধ্বস্ত অর্থনীতির মধ্যে দাঁড়িয়েও নির্বাচনের মন্ত্র জপ— মূলত এই দুই অভিযোগেই অমিত শাহের ‘ভার্চুয়াল জনসভা’কে বিঁধছেন বিরোধীরা। আক্রমণ শানাচ্ছে কর্মী সংগঠনগুলিও।
সিপিএমের পলিটবুরোর সদস্য তথা ট্রেড ইউনিয়ন সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেনের কথায়, “কেন্দ্রের ত্রাণ প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কার্যত একটা পয়সা নেই। অথচ বাংলার ভোটের জন্য প্রচারের বিউগল বাজাতে সবার আগে তাঁদের কথা টেনে এনেছেন অমিত শাহ! এটা সীমাহীন প্রতারণা। নিম্ন রুচির পরিচয়ও।” কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি আজ বলেন, ‘‘ভারতের এলাকার মধ্যে চিনের সেনা ঢুকে পড়ছে, করোনা-সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ নেই। কিন্তু সে দিকে নজর না দিয়ে অমিত শাহ ভোটের প্রচার নিয়েই ব্যস্ত।’’
আদুর গায়ে দরিদ্র মানুষ, তাঁর সামনে ঝোলানো এলইডি স্ক্রিনে বক্তৃতা দিচ্ছেন শাহ। এই ছবি টুইট করে আপের কটাক্ষ, “যেখানে ভেন্টিলেটর লাগানোর কথা, সেখানে বসেছে এলইডি স্ক্রিন। সত্যিই দেশ বদলাচ্ছে।” দিল্লিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও বিজেপি যে ভাবে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তির সাফল্য প্রচার করছে, তাকেও এক হাত নিয়েছে তারা।
বিরোধী দলগুলির প্রশ্ন, শুরুতে লকডাউনের সাফল্য জোর গলায় প্রচার করা প্রধানমন্ত্রী এখন কোথায়? লকডাউনের পাহাড়প্রমাণ ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টাতেই শাহের এই রাজনৈতিক তৎপরতা কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে।
আরও পড়ুন: বাঘজানে প্রাকৃতিক গ্যাসের কূপে বিস্ফোরণের আগুনে দুই দমকলকর্মীর মৃত্যু