দেশের বাজেট ১ ফ্রেব্রুয়ারি। আর উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে ভোট শুরু ৪ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে। ভোটারদের প্রভাবিত করতে নরেন্দ্র মোদী সরকার বাজেটকে ব্যবহার করতে পারে— এই আশঙ্কা নিয়ে বাজেট অধিবেশন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছে বিরোধী দলগুলি। তবে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বাজেট পিছোনোর দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। বিরোধীরা এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে।
বিরোধী কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি ও বিএসপির অভিযোগ, বাজেটের মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করতেই অধিবেশনের দিনক্ষণ এগিয়ে আনা হয়েছে। এটা নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার সামিল। এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধীরা। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ নরেশ অগ্রবালের কথায়, ‘‘সরকার বাজেটে জনমোহিনী ঘোষণা করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে। তা রুখতেই রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশনের কাছে বাজেট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।’’ বিএসপি নেত্রী মায়াবতী একই অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কংগ্রেস মুখপাত্র অজয় কুমারের যুক্তি, ‘‘পাঁচ বছর আগে উত্তরপ্রদেশের ভোটের জন্য বাজেট অধিবেশন এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ বার তার অন্যথা হবে কেন?’’
বিরোধী শিবিরের ওই আবেদন যে তাঁদের কাছে এসেছে তা মেনে নিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নসীম জৈদী। তিনি বলেন, ‘‘এ নিয়ে কমিশনের কী নিয়ম রয়েছে, অতীতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল— সে সব খতিয়ে দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’ তবে পাঁচ বছর আগে বাজেট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন নিয়ে বিজেপি শিবির সুর চড়ালেও, এ বার অবশ্য শাসক দল সম্পূর্ণ উল্টো পথে হাঁটছে। জেটলির যুক্তি, ‘‘অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গিয়েছে বাজেটে ঘোষিত প্রকল্পের কাজ শুরু হতেই বছরের অর্ধেক কেটে যায়। সে জন্যই বাজেট এগিয়ে আনা হচ্ছে।’’ অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, প্রকল্পের কাজ এপ্রিল থেকেই শুরু করতে বাজেট এগোনোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।