প্রতীকী জুতো নিয়ে প্রতিবাদ উদ্ধব, শরদেরা। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)
ছত্রপতি শিবাজীর মূর্তি ভেঙে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল মহারাষ্ট্র। এ বার সেই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামল বিরোধী গোষ্ঠী ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’। মুম্বইয়ে পথে ‘জুতো মারো’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরেরা। ফোর্ট এলাকার হুতাত্মা চক থেকে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’। বিরোধীদের মিছিলের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপিও পাল্টা কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
জোড়া কর্মসূচির কারণে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করেছে একনাথ শিন্ডের সরকার। সাধারণ পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া।
সাধারণ মানুষকে ‘জুতো মারো’ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’ নেতৃত্ব। উদ্ধবের শিবসেনা শিবির থেকে শরদ পওয়ার গোষ্ঠী শিন্ডে সরকারের বিরোধিতায় সরব। তাদের দাবি, শিবদ্রোহীদের কোনও ক্ষমা নেই। দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছে তারা। মাত্র ৮ মাস আগে মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলার মালভানে রাজকোট দুর্গে তৈরি শিবাজীর ৩৫ ফুট মূর্তি ভেঙে পড়ার ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
ভারতীয় নৌবাবিনী এবং রাজ্য সরকার যৌথ ভাবে শিবাজীর ওই মূর্তি তৈরি করেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ধুমধাম করে শিবাজীর মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন। সেই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের পূর্ত দফতর মূর্তি নির্মাণের বরাত দেওয়া ঠিকাদার জয়দীপ আপ্টে এবং চেতন পাটিলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। তাঁদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তোলা হয়। পুলিশ চেতনকে গ্রেফতার করেছে।
শিবাজীর মূর্তি ভেঙে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। শুরু হয় রাজনৈতিক তরজাও। বিরোধীরা শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আঙুল তোলে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের পদত্যাগেরও দাবি করে। এই ঘটনার পরে শুক্রবার পালঘরের এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মূর্তি ভাঙা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা শিবাজীকে তাঁদের দেবতা বলে মনে করেন এবং মূর্তি ভেঙে পড়ায় আহত হয়েছেন, তাঁদের কাছে আমি মাথা নত করে ক্ষমা চাইছি। আমাদের মূল্যবোধ আলাদা। আমাদের কাছে আমাদের দেবতার চেয়ে বড় কিছুই নয়।’’ তবে তার পরও বিক্ষোভের আঁচ কমেনি।