—ফাইল চিত্র।
দলিত ইস্যুতে এ বার সংসদের ভিতরে-বাইরে বিরোধীদের তোপের মুখে নরেন্দ্র মোদী সরকার। লোকসভার অন্দরে যেমন সেই ক্ষোভের আঁচ টের পাওয়া গেল, তেমনই সংসদের বাইরেও বিরোধীদের প্রতিবাদের মুখে পড়ল সরকার। এরই মাঝে শান্তি বজায় রাখার জন্য দেশবাসীর কাছে আবেদন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
মঙ্গলবার লোকসভায় রাজনাথ নিজের ভাষণ শুরু করামাত্রই তুমুল হই-হট্টগোল শুরু করে দেন বিরোধী সাংসদেরা। তফসিলি জাতি ও জনজাতি নিপীড়ন প্রতিরোধ আইন নিয়ে আলোচনার দাবি করতে থাকেন বিরোধী দলের একাধিক সাংসদ। এই আইনকে লঘু করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। তবে তারই মাঝে ভাষণ দিতে থাকেন রাজনাথ। তিনি জানান, দলিত বিক্ষোভের জেরে হিংসায় উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, পঞ্জাব সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে স্বরাস্ট্র মন্ত্রক। এ নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখারও আবেদন করেন তিনি। রাজনাথের দাবি, “তফসিলি জাতি ও জনজাতির স্বার্থরক্ষায় তৎপর মোদী সরকার।”
পাশাপাশি রাজনাথ আরও জানান, গোটা পরিস্থিতির দিকেই নজর রাখছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ঘটনাচক্রে, এ দিন দুপুরেই ওই আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল তা পুনর্বিবেচনার নিয়ে শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। তবে গোলমালের জেরে শেষমেশ আগামী কাল বুধবার সকাল ১১টা পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।
আরও পড়ুন: দলিত বিক্ষোভের পর আজ কেন্দ্রের আর্জি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট
আরও পড়ুন: নতুন করে অঙ্ক পরীক্ষা নয়, সিদ্ধান্ত সিবিএসই-র
লোকসভায় রাজনাথের বক্তব্যে অবশ্য একেবারেই সন্তুষ্ট নন বিরোধীরা। এ দিন সকালে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তৃণমূল সাংসদেরা। প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে ধর্না দেন তাঁরা। সোমবারই এ নিয়ে মোদী সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদত্যাগ দাবি করে এ দিন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “দলিত ইস্যু মোকাবিলা করতে ব্যর্থ মোদী সরকার।” এত দিন ধরে এই ইস্যু নিয়ে কেন নিশ্চুপ রয়েছে মোদী সরকার, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।