ছবি: পিটিআই।
করোনার কামড়ে যখন বহু দরিদ্র পরিবারে খাবার জোগাড় করাই কঠিন, তখন ২০ হাজার কোটি টাকায় দিল্লির রাজপথ ঢেলে সাজার পরিকল্পনা কেন? কেনই বা নতুন এলাহি সংসদ ভবন? প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৮০০ কোটি টাকার বিমানও কি প্রয়োজন এখনই? সাংসদদের বেতন ও ভাতা ৩০% ছাঁটাই, আর সেই সঙ্গে তাঁদের এলাকায় খরচের জন্য বরাদ্দ উন্নয়ন কোটার টাকা দু’বছরের জন্য বন্ধ রাখা সংক্রান্ত আলোচনায় সংসদে ফের এই সমস্ত প্রশ্নের মুখে পড়ল মোদী সরকার।
লোকসভার মতো রাজ্যসভায়ও এই দুই বিলের সরকারি ভাবে বিরোধিতা করেনি কোনও রাজনৈতিক দল। তাই শুক্রবার রাজ্যসভায় তা পাশও হয়েছে সর্বসম্মত ভাবে। কিন্তু বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে মূলত তিন বিষয়ে বিরোধীরা বিঁধেছেন সরকারকে। প্রথমত, সমস্ত দল এবং রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না-করে এমন এক তরফা ভাবে সাংসদ কোটার টাকা বন্ধ করে দেওয়া গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী। দ্বিতীয়ত, বেতন ছাঁটাইয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু সাংসদেরা যদি এলাকা উন্নয়নের কোটার টাকা না-পান, তাহলে খালি হাতে তাঁরা সাধারণ মানুষের মুখোমুখি হবেন কী ভাবে? সামান্য মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার কেনার উপায়ও তো থাকবে না! এতে টাকা বাঁচবেই বা কতটুকু? আর তৃতীয়ত, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যদি প্রতিটি পাই-পয়সা বাঁচানো এত গুরুত্বপূর্ণ হয়, তা হলে রাজপথ ঢেলে সাজানোর মতো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে টাকা ঢালা কেন?
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর অবশ্য যুক্তি, “টাকার অঙ্ক নয়, সাধারণ মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার বিষয়টি এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। আর অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পরিকাঠামোয় টাকা ঢালার কথা তো নিয়ম করে বলেন বিরোধীরাই!”