রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে (বাঁ দিক থেকে)। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের নাগপুরেই ইন্ডিয়া-র প্রথম জনসভা করতে চাইছে বিরোধী শিবির। এই নভেম্বর মাসেই।
রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে, শরদ পওয়ারের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনে কথাবার্তায় ৪-৫ নভেম্বর নাগপুরে ইন্ডিয়া-র প্রস্তাবিত বৈঠক নিয়ে কথা হয়েছিল। কিন্তু ৫ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের প্রায় আড়াই হাজার পঞ্চায়েতে নির্বাচন রয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত নাগপুরে। সেই কারণে ওই সময়ে ইন্ডিয়া-র বৈঠক করা যাবে না বলে শরদ পওয়ার ইন্ডিয়া-র বিভিন্ন দলের নেতাদের জানিয়েছেন। তাই তা কিছু দিন পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে সম্ভব হলে ১২ নভেম্বর দীপাবলির আগেই নাগপুরে ইন্ডিয়া-র জনসভার আয়োজন করতে চাইছে এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ও কংগ্রেস। যদিও উৎসবের মরসুমে এই জনসভা কতখানি সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ওই সময়ে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের প্রক্রিয়াও শুরু হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত না হলেও প্রথম জনসভা নাগপুরেই হবে। কারণ, নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতর। সেখানেই ইন্ডিয়া-র প্রথম জনসভা করে বিজেপি-আরএসএসের ‘বিভাজনকারী মতাদর্শ’-এর বিরুদ্ধে বার্তা দিতে চান বিরোধী নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, নাগপুর মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকার প্রধান শহর। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস এই বিদর্ভ এলাকাতেই সব থেকে বেশি শক্তিশালী। কংগ্রেস, উদ্ধবের শিবসেনা ও এনসিপি মিলে জনসভার আয়োজন করবে। ইন্ডিয়া-র সব দলের শীর্ষ নেতাদেরই হাজির করার চেষ্টা হচ্ছে। প্রথমে ভোপালে ইন্ডিয়া-র প্রথম জনসভা হবে বলে ঠিক হলেও মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা কমল নাথের আপত্তিতে তা বাতিল হয়ে যায়। তার পরে এ মাসের শেষে নাগপুরে বৈঠক করা নিয়ে আগ্রহী ছিলেন কংগ্রেস এবং এনসিপির নেতারা। মমতা জানিয়েছিলেন, ওই সময়ে লক্ষ্মীপুজো থাকায় তাঁর পক্ষে যাওয়া সম্ভব হবে না।