জোট গড়ে উপড়ে ফেলা যায় পদ্ম! উত্তরপ্রদেশে উপনির্বাচনের ফল বেরোতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে অঙ্কটা। আর সঙ্গে সঙ্গেই ক্রমশ একজোট হওয়ার সুর চড়ছে বিরোধী শিবিরে।
আজ দলিত নেতা কাঁসিরামের জন্মদিনে টুইট করলেন রাহুল গাঁধী। অখিলেশ বললেন, কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল। কাল রাতে অখিলেশের সঙ্গে বৈঠকের পরে আজ চণ্ডীগড়ের এক সভায় মায়াবতী তুলোধনা করলেন নরেন্দ্র মোদীকে। এর মধ্যেই এক সময় বিজেপি-বিরোধী জোটের অন্যতম রূপকার প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত ফাউন্ডেশনে হাজির হলেন সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, সীতারাম ইয়েচুরিরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেখানে হাজির হলেন লালকৃষ্ণ আডবাণীও।
ক’দিন আগেই সপা থেকে নরেশ অগ্রবালকে বিজেপিতে আনা হয়েছে রাজ্যসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে বিরোধী জোটে ফাটল ধরাতে। শিবপাল যাদবকেও সপা থেকে ভাঙিয়ে আনার ছক ছিল বিজেপির। কিন্তু উপনির্বাচনে সপা-র জয়ের পর শিবপাল এখন অখিলেশের নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
সপা সাংসদ অমর সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিজেপির ইশারায় চলেন। সেই অমর বলছেন, যতই সপা-বসপা এক হওয়ার চেষ্টা করুক, লোকসভায় তা হবে না। মায়াবতী লোকসভায় যত আসন চাইবেন, তা মানা অখিলেশের পক্ষে সম্ভব নয়। তার উপর কংগ্রেস সঙ্গে এলে তাদেরই বা কত আসন দেওয়া হবে? কিন্তু বিরোধী শিবির বলছে, গত লোকসভাতেও সপা-বসপা এক সঙ্গে লড়লে বিজেপির আসন সংখ্যা নেমে যেত চল্লিশের নীচে। সপা-বসপা পেত চল্লিশের উপরে। আর সে সময় কংগ্রেস সঙ্গে থাকলে বিজেপি পেত মাত্র ২৪ টি আসন। বিরোধী জোটের ঝুলিতে থাকত ৫৬টি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মোদী সরকারের চার বছরের ‘কুশাসন’। ফলে এখন থেকে বিরোধীরা জোট বাধলে পরের লোকসভায় গোবলয়ের সবথেকে বড় রাজ্যে বিজেপির শিরে সংক্রান্তি।