ফাইল চিত্র।
সন্ত্রাসে আর্থিক মদত, দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে মুসলিম সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই)-র বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে বড় মাপের অভিযানে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার গভীর রাত থেকে শুরু হয়েছে সেই ‘অপারেশন অক্টোপাস’-এর দ্বিতীয় দফার অভিযান। মঙ্গলবার তল্লাশি অভিযান চলেছে দেশের আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল— দিল্লি, কর্নাটক, অসম, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত এবং তেলঙ্গানায়।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)-র চালানো ওই অভিযানে ১৭০ জনের বেশি পিএফআই সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দিল্লিতে শাহিনবাগ, নিজামুদ্দিন এবং জামিয়া নগরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত ৩০ জনকে। শুধু এনআইএ নয়, দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল এবং স্থানীয় থানাগুলিও এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জামিয়া নগরে আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কর্নাটকের চিত্রদুর্গ, বেল্লারি, মেঙ্গালুরু, কোলার-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৭৫ জন পিএফআই সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পিএফআইয়ের জেলা সভাপতি আব্দুল করিম এবং সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব ইন্ডিয়া (এসডিপিআই)-র সম্পাদক শইক মকসুদও রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বছর তিনেক আগে নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর প্রতিবাদের সূত্রে দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল পিএফআই-এর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বিজেপি মুখপাত্র (বর্তমানে সাসপেন্ডেড) নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পর উত্তরপ্রদেশে হিংসার ‘মূল ষড়যন্ত্রী’ হিসাবে পিএফআই-কে চিহ্নিত করেছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার অন্য দিকে, বছর দুয়েক আগে বেঙ্গালুরু-সহ কর্নাটকের বিভিন্ন এলাকায় গোষ্ঠীহিংসার ঘটনায় এসডিপিআই এবং ‘আল হিন্দ’-এর মতো কট্টরপন্থী সংগঠনের নাম উঠে এসেছিল।
কেন্দ্রের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত ২৯ অগস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পিএফআই-সহ কয়েকটি কট্টরপন্থী সংগঠনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন এনআইএ, ‘র’, গোয়েন্দা বিভাগ (আইবি)-এর আধিকারিকেরা। পিএফআইয়ের পাশাপাশি ওই বৈঠকে দক্ষিণ ভারতে সক্রিয় কট্টরপন্থী গোষ্ঠী এসডিপিআইয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।