প্রতীকী ছবি।
নরেন্দ্র মোদীর পাতা জালে জাল নোটও ধরা পড়ল না তেমন।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান বলছে, সব মিলিয়ে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৭ লক্ষ ৬২ হাজারের মতো জাল নোট চিহ্নিত হয়েছে। তার আগের অর্থ বছরের থেকে বেশি। কিন্তু ৫০০ টাকার নোটে প্রতি দশ লক্ষে মাত্র ৭.১ টি, এবং হাজার টাকার নোটে দশ লক্ষে ১৯.১ টি। শতাংশের হিসেবে বাতিল মোট হাজার নোটে জালের পরিমাণ ০.০০০৭, আর ৫০০ টাকার নোটে তা ০.০০২। অথচ নোট বাতিলের পর মোদী বলেছিলেন, তাঁর এই এক সিদ্ধান্তে কালো টাকা তো বটেই, ধরা পড়বে জাল নোটও। বন্ধ হবে সন্ত্রাসবাদ-মাওবাদ।
নোট বাতিলের পরে সন্ত্রাসবাদ বন্ধ হয়নি, মাওবাদও না। আর বিরোধীরা সংশয় প্রকাশ করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অঙ্ক নিয়েই। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ নরেশ অগ্রবাল বলেন, নোট গুণতে এত দিন সময় লাগল কেন? আসলে নোট বাতিলের পর ১০৫ শতাংশ নোট ব্যাঙ্কের ঘরে চলে আসে। বিরোধীদের অভিযোগ, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নোট গোনার কাজ আগেই শেষ হয়েছিল। কিন্তু বেশি টাকা ঘরে আসায় ফের গুণতে বলা হয়। এই বাড়তি টাকাই আদতে জাল নোট। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে মোদী সরকার বলেছিল, নোট বাতিল সিদ্ধান্তের অন্যতম উদ্দেশ্য জাল নোট বন্ধ করা। যার আনুমানিক পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক প্রাক্তন কর্তাই বলছেন, ‘‘যার জাল নোট রয়েছে, ধরা পড়ার ঝুঁকি নিয়ে সে ব্যাঙ্কে তা জমা দিতে যাবে কেন?’’
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম প্রশ্ন তুলেছিলেন, মাত্র ৪০০ কোটি টাকা উদ্ধারের জন্য প্রায় সাড়ে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রাখা হবে? তার জন্য মানুষকে হেনস্থা, লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু আর মুষ্টিমেয় ধনীদের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর ২০০০ টাকার জাল নোটও বাজারে চলে এসেছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রইল কোথায়?