করতারপুর: শুরু নাম নথিভুক্তির প্রক্রিয়া

করতারপুর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান চুক্তি সইয়ের পরই দরবার সাহিবে যাওয়ার জন্য নিয়মবলী প্রকাশ করা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও ডেরা বাবা নানক (পঞ্জাব) শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৩৫
Share:

ফাইল চিত্র।

করতারপুর করিডর দিয়ে পাকিস্তানে গুরুদ্বার দরবার সাহিবে যাওয়ার জন্য অনলাইনে নাম নথিভুক্তের কাজ আজ থেকে শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে ভারত-পাকিস্তান চুক্তি হওয়ার পরই নথিভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লির আবেদন উপেক্ষা করেই ইসলামাবাদ পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে ফি নেবে। ভারতের আশা, পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান ফি-এর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।

Advertisement

করতারপুর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান চুক্তি সইয়ের পরই দরবার সাহিবে যাওয়ার জন্য নিয়মবলী প্রকাশ করা হয়। বলা হয়েছে, পুণ্যার্থীরা কবে দরবার সাহিবে যাবেন সেই দিনটি অনলাইনে নথিভুক্ত করবেন। যাত্রার ৩-৪ দিন আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এসএমএস ও ই-মেলের মাধ্যমে জানানো হবে, তাঁর রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত হয়েছে কি না। সঙ্গে একটি অনুমতি পত্রও দেওয়া হবে। যাত্রার সময় ওই অনুমতি পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় পুণ্যার্থীদের কোনও ভিসা লাগবে না। শুধু বৈধ পাসপোর্ট সঙ্গে রাখলেই হবে। অনাবাসী ভারতীয়দের পাসপোর্টের সঙ্গে ওসিআই কার্ড রাখতে হবে।

ভারত যাত্রার ১০ দিন আগে পুণ্যার্থীদের তালিকা পাকিস্তানকে পাঠাবে। ১৩ বছরের কম বয়সি এবং ৭৫-এর বেশি বয়সি কোনও ব্যক্তি একা করতারপুর করিডর দিয়ে পাকিস্তানে যেতে পারবেন না। তাঁদের যেতে হবে দলের সঙ্গে। প্রতিদিন করিডর খোলা থাকবে এবং পুণ্যার্থীরা সকালে রওনা হয়ে সন্ধেয় ভারতে ফিরে আসবেন। পঞ্জাবের গুরুদাসপুরে যাত্রী প্রতীক্ষা কেন্দ্রে ধূমপান, মদ্যপান এবং তামাকজাত কোনও নেশার বস্তু ব্যবহার নিষিদ্ধ।

Advertisement

প্রতিদিন পাঁচ হাজার পুণ্যার্থী পাকিস্তানের করতারপুরে যাবেন। তার ফলে দিনে পাকিস্তানের আয় হবে প্রায় ৭১ লক্ষ টাকা। বছরে আয় হবে তিন লক্ষ ৬৫ হাজার ডলার। ইসলামাবাদ আশ্বস্ত করেছে, পুণ্যার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত ‘লঙ্গর’ ও ‘প্রসাদে’র ব্যবস্থা থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement