পেঁয়াজের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। —ফাইল চিত্র।
এ বার ২২ টাকা কেজি দরে মধ্যবিত্তের কাছে পেঁয়াজ পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। গত বছরের শেষ দিকেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিল পেঁয়াজ। এখনও ৮০ থেকে ১০০ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে কোথাও কোথাও। তার মধ্যেই মঙ্গলবার পেঁয়াজের দাম কমানোর ঘোষণা করল কেন্দ্র।
চাহিদার কথা মাথায় রেখে গতবছরই বিদেশ থেকে এক লক্ষ ২০ হাজার টন পেঁয়াজ কেনায় অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেই মতো তুরস্ক, মিশর এবং আফগানিস্তান থেকে ১৮ হাজার টন পেঁয়াজ এসে পোঁছেছে ভারতে। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির জেরে এমনিতেই খাদ্যদ্রব্যের বিক্রিবাটা কমে গিয়েছে। তাতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি করা যায়নি। তাই শেষমেশ পেঁয়াজের দাম আরও কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
কেন্দ্রীয় খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান এ দিন বলেন, ‘‘মোট ১৮ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হলেও, এখনও পর্যন্ত মাত্র ২ হাজার টন পেঁয়াজই বিক্রি হয়েছে। এখন ২২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
রামবিলাস জানান, মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর বিভিন্ন দেশে মোট ৩৬ হাজার টন পেঁয়াজের বরাত দেওয়া হয়। তার মধ্যে ১৮ হাজার টন দেশে এসে পোঁছেছে। কিন্তু তা বিক্রি করাই অসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল? তার জন্য রাজ্যগুলিকেই দুষেছেন তিনি। রামবিলাসের দাবি, ‘‘ঘরোয়া বাজারে চাহিদার জোগান দিতে এবং মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতেই বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কিন্তু আমদানিকৃত পেঁয়াজ নিতেকিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না রাজ্যগুলি। এতে আমাদের কী করার আছে? এর পর যেন আমদানিকৃত পেঁয়াজ কেন পচছে, তা নিয়ে আদালতে না যান কেউ।’’
এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গই আমদানিকৃত পেঁয়াঁজ কিনেছে বলে জানিয়েছেন রামবিলাস। আবার শুরুতে আগ্রহ দেখিয়েও অনেক রাজ্য পরে অবস্থান পাল্টেছে বলেও জানান তিনি।
ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের সচিব অবিনাশ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, আগামী দু’দিনের মধ্যেই বিদেশ থেকে আরও চার হাজার টন পেঁয়াজ এসে পৌঁছবে। মাসের শেষে এসে পৌঁছবে আরও ১৪ হাজার টন। আরও সাড়ে পাঁচ হাজার টন পেঁয়াজ এসে পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু চাহিদার অভাবে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়।