পেঁয়াজের দাম না পেয়ে ক্ষোভ বাড়ছে কৃষকদের। অলংকরন: শৌভিক দেবনাথ
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের কৃষক সঞ্জয় বালকৃষ্ণ শাঠে নিজের হাতে ফলানো ৭৫০ কিলোগ্রাম পেঁয়াজ বিক্রি করে হাতে পাওয়া ১০৬৪ টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর কাছে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা করার জন্য। সেই ঘটনাই আবার ফিরে এল মধ্যপ্রদেশে। মাত্র পঞ্চাশ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ! আদার দাম প্রতি কেজিতে মাত্র ২ টাকা! অতএব মধ্যবিত্তের হেঁশেলে হাসি ফিরলেও, কৃষকদের পেটে টান পড়ছেই।
ভোট গিয়েছে, সেই সঙ্গেই গিয়েছে কৃষকদের জন্য যাবতীয় প্রতিশ্রুতিও। হু হু করে কমছে ফসলের দাম, অথচ সমাধানের কোনও রাস্তা বাতলাতে পারছেন না কেউই। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ বা তামিলনাড়ু, ছবিটা সব জায়গাতেই এক। সম্প্রতি সেরকমই একটা ঘটনায় আবার শিরোনামে মধ্যপ্রদেশের মালওয়া প্রদেশের নিমাচ অঞ্চল।
দাম কমতে কমতে নিমাচে পেঁয়াজের দাম নেমে যায় মাত্র পঞ্চাশ পয়সায়। সামান্য বেড়ে আদার দাম দাঁড়ায় কেজি প্রতি ২ টাকাতে। অত্যধিক ফলনের জন্য যোগানের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াতেই দামের এতটা পতন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। অথচ দেশ জুড়ে কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন চললেও এখনও সরকারের তরফে ফসলের ন্যূনতম দাম নির্ধারণ সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ঘর থেকেই গেল ৩৬ টাকা!
ব্যাপক ফলনের জন্য বর্তমানে নিমাচের কৃষি মান্ডিতে প্রতিদিন প্রায় ১০,০০০ বস্তা পেঁয়াজ আসছে বলে খবর। মান্ডিতে ফসল নিয়ে আসবার জন্য কৃষকেরা ট্রাক্টর বা লরি করে আদা-পেঁয়াজ বিক্রির জন্য পথে নামলে বড়সড় ট্রাফিক জ্যামে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পুরো এলাকা।
যদিও রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ বিকোচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা প্রতি কেজিতে। আদা কিনতে গেলে প্রতি কেজিতে দাম পড়ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
আরও পড়ুন: বুলন্দশহরে পুলিশ খুনের পিছনে বজরং-ভিএইচপি যোগ! গ্রেফতার পাঁচ, শহরে ১৪৪ ধারা
বেশিরভাগ সময়েই ফসলের দাম না পেয়ে কৃষকেরা আর বাজারেও নিয়ে আসতে পারছেন না উদ্বৃত্ত ফসল। বাড়ির গবাদি পশুদের খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে সেই সব।