Kota

ছাত্রমৃত্যু রোখা যাচ্ছে না প্রশাসনিক পদক্ষেপেও! রাজস্থানের কোটায় আবার দেহ উদ্ধার, দশ দিনে তিন জন

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বছরের শুরু থেকেই আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে চলেছে। গত ১০ দিনে তিন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনে উত্তরপ্রদেশের এবং এক জন রাজস্থানের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রশাসনিক পদক্ষেপ, কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেও ছাত্রমৃত্যু আটকানো যাচ্ছে না রাজস্থানের কোটায়। আবারও এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার হল এই শহর থেকে। ফলে গত ১০ দিনে কোটায় তিন পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নুর মহম্মদ। উত্তরপ্রদেশের বীরপুর কটরু গোন্ডার বাসিন্দা। কোটায় বিটেক নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। শুক্রবার সকালে ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মুর কেন আত্মহত্যা করলেন, সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়। ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোটও মেলেনি। ফলে এই পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

কোটার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, নুরের ঘনিষ্ঠ এবং বন্ধুদের কাছে থেকে তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে। নুরের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েছিল কি না, কোনও মানসিক চাপ লক্ষ করা গিয়েছিল কি না বা পড়াশোনা নিয়ে কোনও চাপের মধ্যে ছিলেন কি না, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নুরের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন ওই তদন্তকারী আধিকারিক।

Advertisement

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বছরের শুরু থেকেই আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে চলেছে। গত ১০ দিনে তিন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনে উত্তরপ্রদেশের এবং এক জন রাজস্থানের। যে তিন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন, ঘটনার দু’দিন পরই জয়েন্ট এন্ট্রাসের মূল পরীক্ষা ছিল। পড়ুয়াদের ঘর থেকে সুইসাইড নোটও মিলেছিল।

প্রসঙ্গত, গত বছরে ২৯ জন ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যা করেছিলেন কোটায়। ২০২৪-এর শুরুতেই চার জনের দেহ উদ্ধার হওয়ায় প্রশাসনিক মহলেও উদ্বেগ বাড়ছে। কোটায় পর পর পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনায় রাজ্য প্রশাসন কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করে। বিশেষ দল গঠন করে পড়ুয়াদের উপর নজরদারি চালানো, তাঁদের কাউন্সেলিং করা এবং তাঁদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর মতো কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু তার পরেও কোনও ভাবেই আত্মহত্যা আটকানো যাচ্ছে না। কোচিং সেন্টারগুলির জন্য বিশেষ নির্দেশিকাও জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু তার পরেও কিছুতেই এই পরিস্থিতির বদল ঘটছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement