প্রতীকী ছবি।
নামিবিয়া থেকে আনা আরও একটি চিতার মৃত্যু হল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে মোট ১০টি চিতার মৃত্যু হল কুনোতে।
কুনো জাতীয় উদ্যানের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ শৌর্য নামে নামিবিয়ার একটি চিতার মৃত্যু হয়েছে। সকাল ১১টা নাগাদ প্রাণীটির মধ্যে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তার পরই সেটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে বেহুঁশ করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় চিতাটির। কী কারণে চিতার মৃত্যু হল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই তা জানা যাবে বলে এক বনাধিকারিক জানিয়েছেন। ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়েছিল নামিবিয়া থেকে আনা আটটি চিতাকে। স্বপ্নের চিতা প্রকল্পের উদ্বোধন করে মোদী বলেছিলেন, ‘ঐতিহাসিক দিন’। নামিবিয়া থেকে প্রথম দফায় ৮টি চিতাকে আনা হয়েছিল কুনো-য়। দ্বিতীয় দফায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় আরও ১২টি চিতা।
গত বছরের অগস্টে নবম চিতাটির মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে ১৪ জুলাই জঙ্গল থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সুরজ নামের একটি পুরুষ চিতার দেহ। তার ঠিক দু’দিন আগেই মৃত্যু হয়েছিল আফ্রিকা থেকে আনা সপ্তম চিতা তেজসের। সেটির ময়নাতদন্তের রিপোর্টে লেখা ছিল, চিতাটি ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। মার্চে শাশা নামে নামিবিয়ার আর একটি চিতার মৃত্যু হয়। কিডনিতে সমস্যার কারণে মৃত্যু হয়েছিল প্রাণীটির। একের পর এক চিতার মৃত্যুতে মোদীর স্বপ্নের প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
গত বছরের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বনপ্রাণ বিশেষজ্ঞ ভিনসেন্ট ভান ডার মেরওয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন, ভারতে আরও চিতার মৃত্যু হতে পারে। তাঁর দাবি ছিল, অন্য সমস্ত দিক ঠিক থাকলেও চিতা যখন নিজের এলাকা চিহ্নিত করবে তখন তাকে মোকাবিলা করতে করতে হবে বাঘ এবং চিতাবাঘের সঙ্গে। সেই লড়াইয়ে বিদেশ থেকে আনা চিতার এঁটে ওঠা মুশকিল।
একের পর এক চিতার মৃত্যু নিয়ে এর আগে মুখ খোলে সুপ্রিম কোর্টও। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। বিষয়টিকে ‘মর্যাদার প্রসঙ্গ’ না বানিয়ে চিতাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য কেন্দ্রকে সক্রিয় হতে বলেছিলেন বিচারপতি গাভাই।