দিল্লির মুন্দকা গ্রাম থেকে দেহ উদ্ধার কিশোরীর। প্রতীকী ছবি।
একটি মিসড কল। আর সেই মিসড কলই ধরিয়ে দিল এক আততায়ীকে। ঘটনাটি দিল্লির নাঙ্গোলি এলাকার।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি স্কুলের যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় বছর এগারোর এক কিশোরী। ওই দিনই সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে অচেনা নম্বর থেকে একটি মিসড কল এসেছিল কিশোরীর মায়ের মোবাইলে। কে মিসড কল দিল, তা জানার জন্য পাল্টা তিনি ফোন করেন। কিন্তু ফোন বন্ধ ছিল।
সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় কিশোরী স্কুল থেকে না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে তার পরিবার। এ দিক, ও দিক খোঁজাখুঁজির পর মেয়ের কোনও হদিস না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা-মা। কিশোরীকে অপহরণ করা হয়েছে, এই সন্দেহে ১০ ফেব্রুয়ারি আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। মিসড কল আসা ওই নম্বরে বার বার ফোন করতে থাকেন কিশোরীর মা। কিন্তু বার বারই সুইচড অফ বলছিল। নম্বরটি পুলিশকেও দেন কিশোরীর মা।
মিসড কল আসা ওই নম্বরের সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে মোবাইলের টাওয়ারের অবস্থান চিহ্নিত করে তারা। সেই সূত্রে ধরেই পঞ্জাব এবং মধ্যপ্রদেশে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ২১ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রদেশ থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম রোহিত ওরফে বিনোদ।
পুলিশ জানিয়েছে, রোহিতকে জেরা করে কিশোরীকে অপহরণ এবং খুনের কথা জানা গিয়েছে। স্কুলে যাওয়ার পথে কিশোরীকে অপহরণ করেছিলেন রোহিত। তার পর তাঁকে খুন করে দেহ পুঁতে দেন। পুলিশকে রোহিত জানিয়েছেন, পশ্চিম দিল্লির মুন্দকা গ্রামে ঘেওরা মোড়ে কিশোরীর দেহ পুঁতে রেখেছেন। রোহিতকে সঙ্গে নিয়ে ঘেওরা মোড় থেকে কিশোরীর দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কেন কিশোরীকে খুন করলেন রোহিত, তা জানার চেষ্টা চলছে। কিশোরীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।