রেস্তোরাঁয় লাগানো সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে পুলিশের ‘গুন্ডামি’। — ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
রেস্তোরাঁয় মারামারি করার অভিযোগে রাজস্থানে সাসপেন্ড হয়ে গেলেন এক আইএএস অফিসার, এক আইপিএস অফিসার-সহ ৫ জন। গত রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুর-অজমের জাতীয় সড়কের পাশে একটি ধাবায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ১ সহকর্মীর দেওয়া পার্টি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন অজমের উন্নয়ন পর্ষদের কমিশনার, আইএএস অফিসার গিরিধর এবং গঙ্গানগর সিটি পুলিশে কর্মরত আইপিএস অফিসার সুশীলকুমার বিষ্ণোই-সহ বেশ কয়েক জন উচ্চপদস্থ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি, ফেরার পথে শৌচাগার ব্যবহার করার জন্য জাতীয় সড়কের পাশে একটি ধাবায় দাঁড়ান তাঁরা। সেখানেই কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, কেন স্যান্ডো গেঞ্জি পরে ঘুরছেন রেস্তোরাঁর কর্মীরা তা জানতে চান আইপিএস অফিসার। অভিযোগ, জবাব পছন্দ না হওয়ায় ওই রেস্তরাঁ কর্মীকে সপাটে চড় মারেন তিনি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন বাকি কর্মীরা। তাঁরা প্রতিবাদ করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে বুঝতে পেরে আইপিএস আধিকারিক রেস্তরাঁ ছেড়ে বেরিয়ে যান। কিছু ক্ষণ পরে তিনি আরও কয়েক জন পুলিশকর্মীকে নিয়ে হাজির হন রেস্তরাঁয়। চলে কর্মীদের বেধড়ক মারধর। গোটা ঘটনা ধরা পড়ে রেস্তরাঁয় লাগানো সিসিটিভিতে।
সেই সিসিটিভির ফুটেজ-সহ ৫ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রেস্তরাঁর মালিক। তার পরেই সাসপেন্ড করা হয় অভিযুক্ত আইপিএস অফিসার সুশীলকুমার-সহ ৫ জনকে। তার মধ্যে ১ আইএএস অফিসার ছাড়াও রয়েছেন দুই পুলিশকর্মী এবং এক সরকারি আধিকারিক। রাজস্থান পুলিশের প্রধান উমেশ মিশ্র এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। অভিযুক্ত আইপিএস অফিসার সুশীলকুমারের অবশ্য দাবি, তিনি এ সবে মোটেও জড়িত নন।