মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদী। নিজস্ব চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মঙ্গলবারই দিল্লিতে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাতে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দিন বিকেল ৪টে নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। মোদীর পাশাপাশি মঙ্গলবার কংগ্রেসের তিন নেতা কমল নাথ, আনন্দ শর্মা এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির সঙ্গেও মমতা দেখা করবেন।
তৃণমূলের একটি সূত্রে জানাচ্ছে, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একাধিক দাবি তুলে ধরতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের উপর থেকে ঋণের বোঝা লঘু করা, বাংলার প্রাপ্য বরাদ্দ দেওয়া, করোনা টিকার সরবরাহ বৃদ্ধির দাবি রয়েছে এর মধ্যে। পাশাপাশি, বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার এবং পেগাসাস-কাণ্ড ও ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগের মতো বিতর্কিত বিষয়ও আসতে পারে আলোচনায়।
বাংলার বিধানসভা ভোটকে এ বার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন মোদী-সহ বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। একাধিক বার বাংলায় ভোট প্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। বাংলার ক্ষমতা অবশ্য দখল করতে পারেনি বিজেপি। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের জিতেছে তৃণমূল। তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা। তার পর এটাই তাঁর প্রথম দিল্লি সফর। প্রথম মোদী-সাক্ষাৎ। সূত্রের খবর, দিল্লি সফরে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আগেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে আবেদন করেছিলেন মমতা। সেই মতো প্রধানমন্ত্রী বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে মঙ্গলবার সময় দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে দুপুর ২টোয় মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল এবং ৩টেয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দের সঙ্গে মমতা বৈঠক করবেন বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে। সর্বভারতীয় পর্যায়ে বিজেপি-বিরোধী যৌথ আন্দোলনের বিষয়ে দুই কংগ্রেস নেতার সঙ্গে তৃণমূলনেত্রী আলোচনা করবেন বলে দলের একটি সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মমতা দেখা করবেন কংগ্রেসের আর এক নেতা সিঙ্ঘভির সঙ্গে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার নির্বাচিত সিঙ্ঘভি নারদা-সহ বেশ কিছু মামলায় রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের আইনজীবী। প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের দিল্লি সফরে মমতা কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, এনসিপি সবাপতি শরদ পওয়ার-সহ একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।