—ফাইল চিত্র।
নিজেকে ৭৪ বছরের যুবক মনে হচ্ছে— জন্মদিনে তিহাড় জেল থেকে টুইট করে জানালেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। আর এই দিনেই অর্থনীতির বেহাল অবস্থা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি ও তাঁর ছেলে কার্তি।
টুইটারে চিদম্বরম লিখেছেন, ‘‘আজ পরিবারের সদস্যরা বন্ধু, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা আমার কাছে নিয়ে এসেছেন। যা আমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে, ৭৪ বছর বয়স হয়ে গেল ঠিকই। তবে মনের থেকে নিজেকে ৭৪-এর যুবক মনে হচ্ছে। আমার জীবনীশক্তি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’’ জন্মদিনেই দেশের আর্থিক হাল নিয়ে চিদম্বরম আক্রমণ করেছেন মোদী সরকারকে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘দেশের আর্থিক পরিস্থিতির কথা ভাবছিলাম। শুধু একটা পরিসংখ্যান গোটা পরিস্থিতিকে বুঝিয়ে দিতে যথেষ্ট। অগস্টে রফতানির বৃদ্ধির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে -৬.৫ শতাংশ। রফতানি বৃদ্ধির হার বছরে অন্তত ২০ শতাংশ না হলে কোনও দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। ঈশ্বর এই দেশকে রক্ষা করুন!’’ চিদম্বরম বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতিতে পরিণত করতে মোদী যে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে তার মিল নেই।
জন্মদিনে বাবাকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন কার্তি। সেখানে কাশ্মীর থেকে শুরু করে অর্থনীতি— নানা ভাবে নিশানা করেছেন মোদীকে। চিদম্বরমের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘‘ভেবেছিলাম বাড়িতে এসে তুমি সবাব সামনে কেক কাটবে। যাই হোক, ৭৪ বছর বয়সকে ১০০ দিনের সঙ্গে কোনও ভাবেই তুলনা করা যায় না।’’ দ্বিতীয় মোদী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কার্তি। বাবাকে লিখেছেন, ‘‘আজ তোমার বয়স হল ৭৪, ৫৬ নয়।’’ মোদীর ‘৫৬ ইঞ্চি’-র ছাতির কথা তুলে ফের কটাক্ষ কার্তির। চন্দ্রায়ন ২ থেকে কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপ— চিঠিতে জায়গা পেয়েছে অনেক কিছুই। চিদম্বরমকে কার্তি লিখেছেন, ‘‘কাশ্মীরিদের দুঃখ একমাত্র তুমিই বুঝবে। কারণ, তোমাদের অন্যায্য ভাবে আটকে রাখা হয়েছে।’’ চন্দ্রায়ন ২ নিয়ে কার্তির মন্তব্য, ‘‘আশা করি ইসরোর বিজ্ঞানীদের ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভক্তদের থেকে কিছুটা এগিয়ে ভাববেন। কারণ, মোদীর ভক্তরা ভাবেন, ভারতের মহাকাশ গবেষণার বিষয়টি হাজার হাজার বছরের পুরনো, ইসরোর যখন অস্বিত্বই ছিল না।’’