Omar Abdullah

স্বেচ্ছায় সরকারি বাসভবন ছাড়তে চান ওমর, সামনে আনলেন প্রশাসনকে দেওয়া চিঠি

কেন বাড়ি খালি করতে চান, তা নিয়ে নিজের ক্ষোভের কথাও লিখেছেন চিঠিতে। ওমর জানিয়েছেন, তিনি নতুন বাড়ি খুঁজছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:৩৬
Share:

ওমর আবদুল্লা।— ফাইল চিত্র

শ্রীনগরের সরকারি বাসভবন স্বেচ্ছায় ছাড়তে চান জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। বুধবার তিনি জানিয়েছেন, অক্টোবরের মধ্যেই তিনি ওই বাড়িটি খালি করে দিতে চান। গত জুলাইয়ে এ নিয়ে প্রশাসনকে চিঠি লিখেছেন তিনি। কেন বাড়ি খালি করতে চান, তা নিয়ে নিজের ক্ষোভের কথাও লিখেছেন চিঠিতে। ওমর জানিয়েছেন, তিনি নতুন বাড়ি খুঁজছেন।

Advertisement

এ দিন ওমর টুইটারে লিখেছেন, ‘‘শ্রীনগরে আমার যে সরকারি বাসভবন রয়েছে তা আমি ছাড়তে চলেছি। আমি প্রশাসনের তরফে কোনও নোটিস পাইনি। অথচ আমাকে বাড়ি ছাড়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে গত বছর সংবাদমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছিল। আমি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছাড়তে চলেছি।’’ টুইটারে প্রশাসনকে পাঠানো চিঠিও প্রকাশ্যে এনেছেন ওমর।

প্রশাসনকে লেখা চিঠিতে সরকারি বাসভবনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন ওমর। সেই সঙ্গে তাঁর ক্ষোভের কারণও তুলে ধরেছেন। তাঁর দাবি, ২০০২ সালে সাংসদ থাকাকালীন শ্রীনগরের ভিভিআইপি এলাকা গুপকর রোডের ওই বাড়িটি (জি-১) তাঁর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। ওমরের আরও দাবি, ২০০৮ সালে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তার পাশের বাড়িটিও (জি-৫) সংস্কার করা হয়। ২০১০ সালের অক্টোবর মাস থেকে, ওই দুটি বাড়িই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন হিসাবে ব্যবহার করে আসছিলেন। ওমর চিঠিতে লিখেছেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে সরে যাওয়ার পরেও তিনি ওই বাড়ি ব্যবহার করে আসছেন। এত দিনের আইন অনুযায়ী, তিনি ওই বাড়ি ব্যবহার করতে পারতেন বলেও জানিয়েছেন ওমর। তাঁর কথায়, কয়েক মাস আগে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের সরকারি বাসভবন এবং নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে নিয়মকানুন কিছু পরিবর্তন করা হয়। তাঁর মতে, ‘‘এই পরিস্থিতি আমি মেনে নিতে পারছি না। বরাদ্দ না হলে আমি কোনও দিনই কোনও সরকারি সম্পত্তি দখল করে রাখিনি। নতুন করে দখল করার কোনও ইচ্ছাও নেই।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: অভিযুক্ত হবু স্বামী, তাই আগাগোড়া পুলিশকে মিথ্যা বলেন আনন্দপুরের নির্যাতিতা

গত বছর অগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করা হয়। সেই সময় থেকেই গৃহবন্দি করে রাখা হয় ওমর আবদুল্লা-সহ কাশ্মীরের শতাধিক নেতানেত্রীকে। আট মাস আটক থাকার পর গত মার্চে মুক্তি পান ওমর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement