ভোটের প্রচারে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। ছবি: পিটিআই।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল ভোটে লড়বেন না জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। তার পর সিদ্ধান্ত নিলেন, লড়বেন। আর এ বার একে বারে জোড়া আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত। গন্ডেরবল থেকে আগেই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ওমর। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের বাদগাম আসন থেকেও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। ওমর বলেন, “দিল্লির সঙ্গে লড়াই করে আমাদের নিজেদের সত্তাকে ফিরে পেতে হবে। সামনে বাধা আসবে। বিজেপি আমাদের ভোট ভাগাভাগি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমাদের গলার জোরকে দমানো যাবে না।”
উল্লেখ্য, বুধবারই গন্ডেরবল থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ওমর। পারিবারিক ‘দুর্গ’ গন্ডেরবলে মনোনয়ন জমা দিয়ে আবেগপ্রবণ গলায় ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, “আমার সম্মান এখন আপনাদের হাতে।” এর আগে ২০১৪ সালের বিধানসভা ভোটে কাশ্মীরের বীরওয়াহা থেকে জিতেছিলেন ওমর। যদিও তাঁর দল ন্যাশনাল কনফারেন্স পরাস্ত হয়েছিল। এ বারের লোকসভা ভোটেও বারমুল্লা থেকে হেরেছেন ওমর।
প্রায় এক দশক পরে বিধানসভা ভোট হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে। তিন দফায় নির্বাচন। প্রথম দফার ভোট ১৮ সেপ্টেম্বর। এর পর ২৫ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর। তার পরে ৮ অক্টোবর গণনা। এ বারের ভোটে কাশ্মীরে আঞ্চলিক দলগুলির ভূমিকা কী থাকে, সে দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বাঁধছে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স। অন্যদিকে বিজেপির ‘পুরনো বন্ধু’ পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি জানিয়ে দিয়েছেন, পদ্মের সঙ্গে তাঁর দলের কোনও বোঝাপড়া নেই। আঞ্চলিক দুই প্রধানের কোনও ঘোষিত জোট না হলেও, উভয়েই একে অপরের প্রতি তুলনায় কিছুটা নরম। বরং, রাজনৈতিক আক্রমণের অভিমুখ বিজেপির দিকেই বেশি। ব়ৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর, ওমরের আক্রমণের অভিমুখও ছিল সেই বিজেপিই।