অসমের তৈলক্ষেত্র নিলাম করা নিয়ে বিরোধী দলের আপত্তি উড়িয়ে রাজ্য সরকারের দাবি এই নিয়ম প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আমলেই চালু হয়।
বিধানসভায় রাজ্য সরকারের তরফে শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি জানান, মনমোহন সিংহ নতুন বিশ্বায়ন নীতি নেওয়ার সময়েই এই নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হয়। অসমে কংগ্রেসের আমলেই ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মোট ২১টি তৈলক্ষেত্র নিলাম করে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আগের নিলামের ঘোষণা এবং নিলামপর্ব দিল্লি, মুম্বই ও আমেদাবাদে হওয়ায় রাজ্যবাসী জানতেই পারেননি। এ’বার কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বিষয়টি গুয়াহাটিতে ঘোষণা করায় রাজনৈতিক উদ্দেশে শোরগোল তৈরি করা হচ্ছে বলে পাটোয়ারি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘‘গুজরাত রাজ্য পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ১৬ হাজার কোটি টাকার কোম্পানি। এত সম্পদশালী সংস্থা অসম সরকারের অধীনে নেই।’’
যে ১২টি তৈলক্ষেত্র নিলাম করা নিয়ে এত বিবাদ, পাটোয়ারি জানান, সেই তৈলক্ষেত্রগুলিতে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ছ’হাজার মিটার নীচে তেল মিলতে পারে। নাও মিলতে পারে। সে ক্ষেত্রে খননকারী সংস্থার ক্ষতি। তিনি জানান, এই নিলামে নুমালিগড়ের মতো রাজ্যের সংস্থাও অংশ নিতে পারে। কংগ্রেসের বিধায়ক অজন্তা নেওগ ও বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া জানতে চান, নিলামে রাজ্য সরকারের সম্মতি আছে কিনা—তা স্পষ্ট জানানো হোক। তাঁদের দাবি, রাজ্যের বৃহৎ তৈলক্ষেত্রগুলির সঞ্চয় শেষ হলে এই তৈলক্ষেত্রগুলি কাজে লাগতে পারত। পাটোয়ারি জানান, আগের ২১টি তৈলক্ষেত্র নিলামের সময়েও রাজ্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেয়নি। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ পাটোয়ারির দাবি খারিজ করে দাবি করেন, ‘‘ইউপিএ আমলে কেন্দ্র রাজ্যের তৈলক্ষেত্র নিলাম করার ব্যবস্থা করলেও, রাজ্য কংগ্রেসের দাবিতে নিলাম প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল। কিন্তু রাজ্য বিজেপি কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মুখ বুজে মেনে নিচ্ছে।’’