ত্রিপুরার তেলের সঙ্কট মেটাতে নতুন উপায় বের করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। সমান (ফ্ল্যাট) ওয়াগনে এ বার তৈলবাহী লরি তুলে দেওয়া হবে। ট্রেনে চেপে তেলের গাড়ি অসমের ভাঙ্গা থেকে পৌঁছবে ৪৪ কিলোমিটার দূরে ত্রিপুরার চুরাইবাড়িতে।
বড়সড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এই পদ্ধতিতেই পণ্যসামগ্রী পৌঁছনো হয়। সেনাবাহিনী ওই পদ্ধতি বেশি ব্যবহার করে। রেল সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্বে এ ভাবে ফ্ল্যাট ওয়াগনের ব্যবহার এই প্রথম। বেহাল সড়কের জন্য পেট্রোপণ্যবাহী লরিগুলি করিমগঞ্জ থেকে ত্রিপুরায় ঢুকতে পারছে না। জিও-টেক্সটাইল বসিয়ে নির্মাণকাজ চলছে। কিন্তু কত দিনে ওই রাস্তা চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। বিকল্প সড়কেও পেট্রোল ট্যাঙ্কার চলাচলে নানা সমস্যা। ফলে ত্রিপুরায় পেট্রোল-ডিজেলের সঙ্কট তীব্রতর হচ্ছে। তেলের ‘রেশনিং’ চালু করেও সমস্যা মিটছে না। সে দিকে তাকিয়ে এগিয়ে এসেছে রেল দফতর।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ অফিসার পি জে শর্মা জানিয়েছেন, আগামী কাল ভাঙ্গা থেকে ফ্ল্যাট ওয়াগনে তেলবাহী লরিগুলিকে তুলে দেওয়া হবে। গাড়ি নিয়ে ট্রেন পৌঁছে যাবে ত্রিপুরায়। পরে সড়কপথে যে যার গন্তব্যে যাবে।
শর্মার কথায়, ‘‘১ অগস্ট ত্রিপুরায় গিয়ে তেল সঙ্কটের কথা শুনে চিন্তায় পড়েন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। সে থেকেই উপায় খুঁজছিলেন তিনি। ফ্ল্যাট ওয়াগন পাঠানোর সিদ্ধান্ত তাঁরই ভাবনাপ্রসূত।’’ তিনি জানান, আগামী কাল সকাল ১১টায় ৩০টি ডিবিকেএম (ওয়াগন) নিয়ে ভাঙ্গা থেকে রওনা দেবে রেলের ইঞ্জিন। প্রতি ডিবিকেএম-এ দু’টি ট্রাক দাঁড়াতে পারে। ভারতে প্রথম ফ্ল্যাট ওয়াগন চালায় কোঙ্কন রেলওয়ে। ১৯৯৯ সালে। পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনী বহু বার তা ব্যবহার করে। তবে বাণিজ্যিক ভাবে এই প্রথম ফ্ল্যাট ওয়াগন চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শর্মা।