ওড়িশার বাহানাগা বাজার স্টেশনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা। —ফাইল চিত্র।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় শনিবার ভুবনেশ্বরের বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। ওই চার্জশিটে ধৃত তিন রেল অফিসারের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানো, তথ্যপ্রমাণ লোপাট ছাড়াও রেল আইনে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের রিপোর্টের ধাঁচেই সিবিআই জানিয়েছে, তারা বাহানাগা কাণ্ডে কোনও অন্তর্ঘাতের প্রমাণ পায়নি।
প্রসঙ্গত, বাহানাগা বাজার স্টেশনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরে সিবিআই তদন্তে নেমে সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার অরুণকুমার মহান্তি, সেকশন ইঞ্জিনিয়ার আমির খান এবং সিগন্যালিং বিভাগের টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমারকে গ্রেফতার করেছিল।
রেল সূত্রের খবর, চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে যে ২ জুন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার দিনে ওড়িশার বাহানাগা বাজার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ৯৪ নম্বর রেল গেটে মেরামতির কাজ করছিলেন অভিযুক্তেরা। ওই ক্রসিংয়ে ‘বুম বার’ বসানোর সময় সিগন্যালিং ব্যবস্থার সার্কিট অভিযুক্তেরা বদল করেন। তাঁরা ৭৯ নম্বর রেল গেটের সার্কিট দেখে কাজ করছিলেন বলেই খবর। কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে পুরো ব্যবস্থার কার্যকারিতা পরীক্ষা না করেই তাঁরা ট্রেন চলাচল শুরু করে দেন বলেও তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।