—প্রতীকী চিত্র।
রোগীর মৃত্যুর পর হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁর আত্মীয়েরা। চিকিৎসককে মারধরও করলেন। অভিযোগ, চিকিৎসক রোগীর সামনেই আসেননি। তিনি হাসপাতালের মধ্যেই নিজের ঘরে নেশায় বুঁদ হয়ে ছিলেন। বাইরে রক্তের অভাবে ধুঁকতে ধুঁকতে মৃত্যু হয় রোগীর।
ওড়িশার বোলাঙ্গির জেলার ভীমা ভোই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা। সোমবার রাতে সেখানে নিকু বারিক নামের এক ব্যক্তিকে ভর্তি করানো হয়েছিল। অভিযোগ, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশেষ পাত্তা দেননি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগী হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় পড়ে ছিলেন। কেউ দেখতে আসেননি। রোগীর রক্তের দরকার ছিল। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রক্তের বন্দোবস্ত করেননি। রোগীর পরিবারের সদস্যেরা রক্ত জোগাড় করে আনলেও চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়নি।
রক্তের অভাবে তিন ঘণ্টা পড়ে থাকার পরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই রোগীর। অভিযোগ, নার্সরাও কেউ এগিয়ে আসেননি। এর পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর আত্মীয়েরা। তাঁরা হাসপাতালে ঢুকে সোজা চলে যান চিকিৎসকের ঘরে। সেখানেই চিকিৎসককে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায়। এর পর শুরু হয় মারধর। হাসপাতালে ভাঙচুরও চালান রোগীর আত্মীয়েরা।
গোলমাল শুনে ছুটে যান হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরা চিকিৎসককে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় এখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেননি।