এআইএডিএমকে’র দুই নেতা পনীরসেলভম (ডান দিকে) ও পালানিস্বামী।
১৯ বছরের পুরনো দুর্নীতি মামলায় তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতাকে দোষী সাব্যস্ত করতে চায় না সুপ্রিম কোর্ট। এ ব্যাপারে কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ের ওপর গত ফেব্রুয়ারিতেই স্থগিতাদেশ জারি করেছিল শীর্ষ আদালত। কর্নাটক সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টের কাছে সেই নির্দেশ খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এ দিন সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
ও দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে হুলস্থূল হয়ে যাওয়ার পর তামিলনাড়ুর শাসক দল এআইএডিএমকে’র দুই নেতা ও পনীরসেলভম আর মুখ্যমন্ত্রী ই কে পালানিস্বামীর চার হাত আবার এক করানোর চেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যত অনিশ্চিত বুঝেই দলায় বিধায়ক, সাংসদদের একটি অংশ দুই নেতার চার হাত মেলাতে এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আর সে কথা ঘূণাক্ষরেও জানানো হয়নি জেলে থাকা ভি কে শশীকলা বা তাঁর একান্ত অনুগত নেতা টি টি ভি দিনকরণকে।
এআইএডিএমকে সূত্রের খবর, দলীয় বিধায়কদের একটি বড় অংশই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ই কে পালানিস্বামীকে মেনে নিতে পারছেন না। তবে এই মুহূর্তে তাঁরা প্রকাশ্যে কোনও বিদ্রোহও ঘোষণা করতে চাইছেন না। তাঁরা দেখতে চাইছেন, আর কে নগর কেন্দ্রে যেখানে দলের প্রার্থী হয়েছেন শশীকলার অনূগামী টি টি ভি দিনকরণ, সেই উপনির্বাচনের ফলাফল কী হয়। ওই ভোটে যদি হেরে যান দিনকরণ, তা হলে মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামীর বিরোধী শিবির গলার সুর চড়াবে বলে ঠিক করে রেখেছে।
পনীরসেলভম শিবিরের এক নেতা বলেছেন, ‘‘আমরা দিনকরণ শিবিরের নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেছি। আবার যাতে পনীরসেলভমের সঙ্গে পালানিস্বামীর দূরত্ব কমিয়ে আনা যায়, চালিয়ে যাচ্ছি তার চেষ্টাও। আমাদের মূল লড়াইটা শশীকলা ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের বিরুদ্ধে। দলের ভাবমূর্তি ও অস্তিত্ব বজায় রাখতে এটাই আমাদের অন্যতম প্রধান অ্যাজেন্ডা।’’
আরও পড়ুন- নেপচুন না কি প্লুটো যাচ্ছিলেন ইনি? ‘ওলা’ বিল পাঠাল ১৪৯ কোটি!